বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ কমেনি গরমের দাপট। গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে নিখরচায় ঘরেই বানিয়ে নিন আপনার এসি।
কীভাবে? এটা বানাতে লাগবে পুরাতন প্লাস্টিকের বোতল এব কক শিট। এটি বানানো খুবই সোজা। এজন্য বিশেষজ্ঞের সাহায্যের প্রয়োজন হবে না। যার মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও কোনো খরচ ছাড়াই বছরের পর পর ঠান্ডা হাওয়া পাওয়া যাবে।
বাতাস শীতল করার এই যন্ত্রের নির্মাণ কৌশল সাদামাটা।কয়েকটি প্লাস্টিকের বোতল মাঝ বরাবর কেটে বোতলগুলোর গলা একটি শক্ত কাগজে আটকে দিতে হবে। বোতলের গলার সরু অংশ ঘরের দিকে মুখ করে কাগজের বোর্ডটি জানালায় স্থাপন করলেই হয়ে যায় একটি কুলার। কাটা অংশ দিয়ে বাতাস এসে সরু অংশ দিয়ে বের হওয়ার সময় চাপের ফলে শীতল হয়ে পড়ে।
এই কুলারের কর্মকৌশলটির সহজ ব্যাখ্যা হচ্ছে, আমরা মুখ হা করে যদি জোরে শ্বাস ছাড়ি তাহলে গরম বাতাস বের হয়ে আসে। কিন্তু ঠোঁট সরু করে শ্বাস ছাড়লে তা ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। এ প্রক্রিয়াতেই ঘরের বাতাস শীতল করে ‘ইকো কুলার’।
বাংলাদেশে প্লাস্টিকের বোতল খুব সহজলভ্য হওয়ার কারণে এই ইকো কুলার তৈরি একেবারে সহজ। এর মধ্য দিয়ে গ্রামের মানুষরা প্রচণ্ড গরমে কিছু স্বস্তি পাবেন।
এর আবিষ্কারক বাংলাদেশেরই রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার আশিষ পাল। আশিষের উদ্ভাবিত প্রযুক্তির নাম ‘ইকো কুলার’। আষিষ পাল জানান, তিনি সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিজ্ঞাপনী সংস্থা গ্রে গ্রুপে ক্রিয়েটিভ সুপারভাইজার হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত রয়েছেন। ছোট বেলা থেকেই তার উদ্ভাবনের নেশা ছিল। সেই ভাবনা থেকেই প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে স্বল্প খরচে এ বিদ্যুৎবিহীন ও পরিবেশবান্ধব এসি উদ্ভাবন করেছেন।
তার এই উদ্ভাবনের পর গ্রে গ্রুপ কল্যাণমূলক কাজ হিসেবে গ্রামীণ বাংলার হাজার হাজার মানুষকে এই যন্ত্র তৈরি শেখানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বিনামূল্যে গ্রাম-বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে এই প্রযুক্তি কাজে লাগানোর জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই কুলারের সৌজন্যেই বিদ্যুতের ব্যবহার ছাড়াই সম্পূর্ণ নিখরচায় এখন শান্তিতে ঘুমোচ্ছে ২৫,০০০ পরিবার।
https://www.youtube.com/watch?v=jPuh8IFbIzQ