পশ্চিমাধুনিক পরচিন্তা- ১
লিখতে চেয়েছিলাম সেই মক্ষীরাণীদের নিয়ে। যারা শুকনো
পাতার মর্মর কুড়াতে গিয়ে অন্যকে দেখাতে চায় বাহুর মাংসপিণ্ড
অথবা অন্যকে শিখাতে চায় পিণ্ডি চটকানোর কলা-কৌশল।
বেগবান হরিণী না হতে পেরে, বলতে থাকে ‘থাপড়ায়ে দ্যাবো’-
কিংবা নিজে যে কিল থাপ্পড়গুলো খেতে খেতে সেরেছিল পরকীয়া,
লিখতে চেয়েছিলাম সেই দানবীদের নিয়ে। দানব না হলে, তা কি
পারে কেউ !
নগরে দানবিক পসরা বেড়ে গেলে, মানুষ ভয় পায়।
নগরে ছুপা রুস্তমদের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেলে লোপ পায় শান্তি।
আসলে দানব কখনও মানবের কাছে ভিড়তে পারে না বলেই-
জ্বলে পুড়ে মরে হিংসেয়। মহিষের পালের মতো গুট পাকাতে পাকাতে
বলতে থাকে- আমরা কম কী সে বাহে !
আমরাও কোবিতা লিখতে পারি !
সাথী
উনুনে উদার আকাশ। ছিল সবই, আঙিনার হলুদ বকুল
শিমুলের উজ্জ্বলতা , চিত্রা নদীর বাঁক ফেরা ভ্রমন। তার
পরও অবসন্ন বিকেলকে সাথী করে ছুটেছি চাঁদভাঙা রাতে,
তোমাকে পাবো বলে অতিক্রম করেছি রক্ষনের সপ্তদশ
সীমান্ত।দেয়াল খুলে দিলে যে কেউ হতে পারে যে কোনো
দেশের বাসিন্দা। আমি কেবল সীমান্ত পেরিয়েছি। কেউ
আমাকে আশ্রয় দেয় নি । না রাষ্ট্র ,না রাত ,না রাজাসন..
হলুদ গোলাপের দিন
নুয়ে আছে রোদ। নুয়ে আছে, আরোগ্য-আনন্দ-.আত্মা
আর কেউ গাইছে না, পরাজিত বিষাদ রজনীর গান
প্রাকৃত প্রলয় ঘটবে না জেনেও, কেউ কেউ গাইছে
বিবর্তনের সুরবন্দনা। ভালোবেসে কেউ স্পর্শ করছে মাটি..
একটি ভ্রমর, অগণিত ভ্রূণের খোঁজে দেখাচ্ছে ডানার
চমক। দুপুরগুলো বাগানে, শোনাচ্ছে হলুদ গোলাপের গল্প
গল্পের নেপথ্যে যে অশ্রু থাকে- তার পরিচর্যা করছে
একজন মালী। ‘ এদেশে কোনো সবুজ নেই ‘- দীক্ষকের
এমন বাণী শুনেই জিপিএ ফাইভের পসরা সাজাচ্ছে দীক্ষিতেরা।