শান্তিবালা দেবী ডান চোখে কিছুটা ঝাপসা দেখছেন বলে চোখের চিকিৎসা করাতে আসেন পশ্চিমবঙ্গের মহকুমা শহর কল্যাণীতে মেয়ের বাড়িতে। মেয়েকে সঙ্গে করে হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক ডান চোখে অস্ত্রোপচার করার পরামর্শ দেন।
কল্যাণীর জেএনএম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। চিকিৎসকের দেওয়া দিনক্ষণেই বৃদ্ধা মাকে নিয়ে মেয়ে সটান হাসপাতালে হাজির হন। ওটি থেকে মা বেরোতেই মেয়ের চক্ষু চড়কগাছ। ডান চোখের জায়গায় চিকিৎসক বাঁ চোখে অপারেশন করে দিয়েছেন।
ওই বৃদ্ধার মেয়ের পক্ষ থেকে হাসপাতালের সুপার ও মহুয়া মুখোপাধ্যায় নামে ওই চক্ষু বিশেষজ্ঞের বিরুদ্ধে কল্যাণী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হাসপাতালের সুপার জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরই ওই চিকিৎসককে শো-কজ করা হয়েছে। সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে।
পরিবারের দাবি, ৭ জুন শেষবার দেখানোর পর ডাক্তার ১৫ জুন অস্ত্রোপচার করা হবে বলে জানিয়ে দেন। ১২-১৫ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন চারবার করে ডান চোখে ড্রপ দেওয়ার জন্য ডাক্তার বলেছিলেন। অপারেশনের দিনও ড্রপ নিয়ে আসতে বলেছিলেন। ১৫ তারিখ সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ মাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। বেলা পৌনে দুটো নাগাদ ওটি থেকে বেরোনোর পর দেখে এই কান্ড । ডান চোখে অপারেশন করার কথা কিন্তু অপারেশন করে দিয়েছে বাঁ চোখে ।
শান্তিবালা দেবীর মেয়ে বলেন, ‘আমি ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করলে তিনি আমাকে জানান, ডান চোখে প্রেসার বেড়ে যাওয়ার কারণে অপারেশন করা যায়নি। তাই বাঁ চোখে করে দিয়েছি। অথচ এই ডাক্তারই আউটডোরে দেখার সময় বাঁ চোখ অপারেশন করার কথা কোনও দিন বলেননি। তাছাড়া ওই ড্রপটি শুধু ডান চোখে দেওয়া হয়েছিল। আর আমাদের না জানিয়ে চিকিৎসক কেন এরকম সিদ্ধান্ত নিলেন? বলা হলে তখন ওই চিকিৎসক আমাদের কাছে ভুল স্বীকার করেন। অভিযুক্ত চিকিৎসকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন তিনি।