সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে বুধবার (১৪ আগস্ট) সকাল থেকে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী। ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন ছাত্রজনতা বাড়িটি আগুনে পুড়িয়ে দেয়। পোড়াবাড়িটির একটা অংশে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোকেয়া প্রাচী লেখেন, ‘আছি ধানমণ্ডি ৩২। হোক সকল হত্যার সকল নৈরাজ্যের বিচার। বিচার হোক বাঙালির ইতিহাস হত্যার। আছি। আমরাও বিচার চাই। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে স্মরণ করব স্বাধীনতা এবং বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস। আছি পুড়ে যাওয়া ৩২-এ। জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।’
১৫ আগস্ট জাতির জনকের মৃত্যু দিবস উপলক্ষে তিনি বুধবার সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্বালনের আয়োজন করেন বলে জানা যায়।
জানা গেছে, সন্ধ্যায় তিনিসহ উপস্থিত সবার ওপরে হামলা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রাচী নিজেই। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে আমাদের ওপরে অতর্কিত হামলা হয়। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছিলাম। হঠাৎ আমাদের ঘিরে ধরে বেধড়ক পেটানো হয়।’
তাকে টার্গেট করে পেটানো হয়েছে, এমন অভিযোগ করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে রোকেয়া প্রাচী বলেন, ‘যারা পিটিয়েছে তারা আমাকে টার্গেট করে এসেছে। প্রত্যেককে আমার শিক্ষিত মনে হয়েছে। তারা খুব শুদ্ধ ভাষায় কথা বলেছে। তাদের কথাবার্তা শুনেই বুঝেছি তারা দুষ্কৃতকারী নন।’
এর আগে রবিবার রাতে ১৫ আগস্ট শান্তিপূর্ণভাবে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে ফুল দেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতার চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের জন্য দোয়াও চেয়েছেন তিনি। শেখ হাসিনার নামে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতেও এ আহ্বান জানানো হয় দেশবাসীর প্রতি।