ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কাছে ০-২ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ় হেরে বিপদে পাকিস্তান। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা কঠিন করে ফেললেন শান মাসুদ, বাবর আজ়মেরা। এ বারের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সহজ সূচি পেয়েছিল পাকিস্তান। অধিকাংশ ম্যাচ ছিল ঘরের মাঠে। বাংলাদেশের কাছে হার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দৌড়ে পিছিয়ে দিল মাসুদদের।
এ বারের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সহজ সূচি পেয়েছিল পাকিস্তান। অধিকাংশ টেস্ট দেশের মাটিতে খেলার সুযোগ ছিল। চেনা ২২ গজে প্রতিপক্ষ দলগুলিকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যেতে পারতেন মাসুদেরা। কিন্তু বাংলাদেশের কাছে সিরিজ় হার পরিস্থিতি কঠিন করে তুলল।
মাসুদেরা এর পর দেশের মাটিতে তিন টেস্টের সিরিজ় খেলবেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। তার পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে দু’টি টেস্ট খেলার কথা তাঁদের। অর্থাৎ, দুই কঠিন প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে পাকিস্তানকে। ২০২২ সালে দেশের মাটিতেই বেন স্টোকসদের কাছে ০-৩ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ় হারতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। এ বারও লড়াই বেশ কঠিন হবে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশ। অন্য দিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাদের হারানোও সহজ নয়।
ঘরের মাঠে তুলনায় সহজ প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ। এই দুই টেস্ট থেকে ২৪ পয়েন্ট ঘরে তুলতে পারলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাওয়ার দৌড়ে কিছুটা সুবিধাজনক জায়গায় থাকতে পারত পাকিস্তান। কিন্তু এই টেস্টে পাকিস্তানের প্রাপ্তি শূন্য। বরং প্রথম টেস্টে মন্থর বোলিংয়ের জন্য ৬ পয়েন্ট কাটা গিয়েছে তাদের। এর ফলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকায় আট নম্বরে নেমে গিয়েছেন মাসুদেরা। দু’টি টেস্টই জিতলে এবং ৬ পয়েন্ট পেনাল্টি না হলে তিন নম্বরে থাকতে পারতেন তারা। স্বভাবতই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার দৌড়ে বেশ ভাল জায়গায় থাকতে পারতেন। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, মাসুদেরা এক রকম নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়ুল মেরেছেন বাংলাদেশের কাছে হেরে।
এখনও পর্যন্ত সাতটি টেস্ট খেলা হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের। হাতে রয়েছে পাঁচটি। বাকি সব ম্যাচ পাকিস্তান জিতলে এবং আর কোনও পয়েন্ট পেনাল্টি হিসাবে না হারালেও মাসুদদের ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত হবে না। তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দেশগুলির খারাপ পারফরম্যান্সের দিকে।