চট্টগ্রাম মহানগরের পাথরঘাটায় শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ ও শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দিরে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে অনুষ্ঠিত এ পূজা দেখতে ও অঞ্জলি দিতে ভক্ত অনুরাগীদের ঢল নামে এ মন্দিরে।
কুমারী পূজার জন্য মাতৃভাবের পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে এ বছর কুমারী মায়ের আসনে বসানো হয়েছে ১০ বছর বয়সী প্রীত ধর ও ১১ বছর বয়সী শুভদ্রা বিশ্বাসকে। দুই জনের বয়স ১০ বছরের উর্ধ্বে হওয়ায় অপরাজিতা নামে পূজিত হন তারা। শাস্ত্রমতে অপরাজিতা নামে পূজিত হলে অভীষ্ট সিদ্ধ লাভ করা যায়।
প্রীত ধর চট্টগ্রামের সেন্ট স্কলাস্টিকাস স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীতে এবং শুভদ্রা বিশ্বাস একই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণিতে অধ্যয়ন করছেন। সকাল সাড়ে ৯টায় মাতৃরূপে ফুল, চন্দন, বেলপাতা, তুলশী পাতা দিয়ে শুরু হয় পূজা অর্চনা। পূজা কার্যক্রম পরিচালনা করেন শান্তন্বেশ্বরী মাতৃমন্দিরের পুরোহিত শ্রীমৎ শ্যামল সাধু মোহন্ত মহারাজ।
মন্দিরের পুরোহিত শ্রীমৎ শ্যামল সাধু মোহন্ত মহারাজ বলেন, কুমারী আদ্যাশক্তি মহামায়ার প্রতীক। কুমারীরা শুদ্ধতার প্রতীক হওয়ায় মাতৃরূপে ঈশ্বরের আরাধনার জন্য কুমারী কন্যাকে নির্বাচিত করা হয়। মূলত নারীর যথাযথ মর্যাদায় অধিষ্টিত করতে কুমারী পূজা করা হয়। মাটির প্রতিমায় যে দেবীর পূজা করা হয়, তারই বাস্তবরূপ কুমারী পূজা। কুমারীতে সমগ্রজাতির শ্রেষ্ঠ শক্তি, পবিত্রতা, সৃজনী ও পালনী শক্তিসহ সকল কল্যানী শক্তি সুক্ষরূপে বিরাজিতা। দুর্গা পূজায় কুমারী পূজা হলো অশুভ, অন্যায়, পাপ পঙ্কিলতার বিরুদ্ধে ন্যায়, পূর্ণ, সত্য ও সুন্দরের যুদ্ধ।
শারদীয় দুর্গ উৎসবে অষ্টমী পূজা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিধিসম্মতভাবে অষ্টমীবিহিত পূজা করে দেবী দুর্গার কৃপা প্রার্থণা করেন ভক্তরা। অষ্টমী তিথির পূজায় ৯টি পাত্রে বিভিন্ন রঙের পতাকা স্থাপন করা হয় যা দেবীর নয়টি শক্তিকে উৎসর্গ করে করা হয়। স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে অধিষ্ঠিত দেবীকে নানা উপাচারে আরাধনা করে সব অনাচার আর সংকট মোচন এবং বিশ্ববাসীর শান্তি প্রার্থণা করে ভক্তরা। পূজা শেষে দেবী দুর্গাকে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করা হয়। অষ্টমী শেষে হবে সন্ধি পূজার মধ্যদিয়ে। অষ্টমী ও নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে এই সন্ধিপূজা অনুষ্ঠিত হয়।