ধামরাইয়ে আ.লীগ-বিএনপিতে কোন্দল, সুযোগ নিতে চায় জাপা

রাসেল হোসেন, ধামরাই (ঢাকা): ঢাকা-২০ ধামরাই আসনে আ.লীগ ও বিএনপিতে একাধিক মনোনয়ন প্রার্থী, অঅর সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চায় জাতীয় পার্টি। জানা গেছে ক্ষমতাশীন দল আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৭ জন ও বিএনপিতে ৪  জন।

আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন- ধামরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বর্তমান সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ এম এ মালেক, সাবেক সংসদ ঢাকা জেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ বেনজির আহমদ, ধামরাই পৌর আ.লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ গোলাম কবীর মোল্লা, বাংলাদেশ কৃষলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি অ্যাড.মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ আ.লীগ কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, ঢাকা জেলা আ.লীগের ১নং যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, ঢাকা জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলিম খান সেলিম।

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার জিয়াউর রহমান, ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ তমিজ, ঢাকা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সুলতানা আহমেদ।

আ.লীগ ও বিএনপির মধ্যে মনোনয়ন লড়াইয়ের সুযোগ কাজে লাগাতে চায় ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ইসরাফিল খোকন।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য এম এ মালেক বলেন, আ.লীগের মনোনয়ন চাইলেই পাওয়া যায় না। মনোনয়ন দেওয়ার মালিক একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা । যে জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করে, যার যত বেশি জনপ্রিয়তা তাকেই মনোনয়ন দেবে বলে আমি মনে করি। আমি এই সাড়ে চার বছরে প্রায় ৯ শত কোটি টাকার কাজ করেছি। আর আমি আশা করছি আমি মনোনয়ন পাব। কারন, দলের দূঃসময়ে আমি দলের সাথেই ছিলাম। আমি ধামরাই উপজেলার ১৬ ইউনিয়নের মধ্যে ১৪টি ইউনিয়নের আ.লীগের চেয়ারম্যান বানিয়েছি। ধামরাই পৌরসভা হওয়ার পর কেউ আ.লীগের মেয়র বানাতে পারেনি, আমি সেখানে আ.লীগের মেয়র বানিয়েছি। তাই আমি আশা করছি দলের মনোনয়ন আমিই পাব এতে কোন সন্দেহ নেই।

এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ বেনজির আহমদ বলেন, আমার সময়ে আমি ৬শত ৬১ কোটি টাকার কাজ করেছি। ইতিপূর্বে কারও আমলে এত টাকার কাজ হয়নি।আর জনগণ যাকে চাইবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে মনোনয়ন দেবেন।আর ধামরাই উপজেলার আ.লীগ আমার হাতে গড়া।

ধামরাই পৌর আ.লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র গোলাম কবীর মোল্লা বলেন, দল যদি আমাকে যোগ্য মনে করে এবং মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হব।

এ ব্যাপারে জিয়াউর রহমান বলেন, আমি যখন ক্ষমতায় ছিলাম তখন ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। দল মনোনয়ন দিলে আমি জয়লাভ করব। তমিজ উদ্দিন বলেন, আমি দুই দুই বারের উপজেলার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আমাকে দল মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হব।

এদিকে সদ্য নব-গঠিত ঢাকা জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক ইয়সিন ফেরদৌস মুরাদ বলেন, প্রতিটি আন্দোলনে নেতাকর্মীদের নিয়ে আমি রাজপথে ছিলাম। দফায় দফায় মামলা ও হামলার শিকার হয়েছি। বর্তমানে আমি সতেরটি রাজনৈতিক মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে সময় পার করছি। দুঃসময়ে বেগম খালেদা জিয়ার পাশে ছিলাম।  কাজেই জনগণ ও দলীয় স্বার্থে মনোনয়নের জন্য জোর দাবী জানাব। তবে দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি আমি সর্বদাই শ্রদ্ধাশীল। এসময় তিনি আরও বলেন আমাকে দল থেকে যদি মনোনয়ন দেয় তাহলে অন্যদের চেয়ে বেশি ভোটে জয়লাভ করব।

ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ইসরাফিল খোকন বলেন, আমি দুই বার বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি।জনগন এখন পরিবর্তন চায় । আমি এবার বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হব।

 

ছবি পরিচিতি: (উপরে বাঁ থেকে)এম এ মালেক, বেনজির আহমদ, গোলাম কবীর মোল্লা, অ্যাড. মোহাম্মদ আলী, ব্যারিষ্টার জিয়াউর রহমান, (নীচে): তমিজ উদ্দিন, ইয়াসিন ফেরদৌস, সুলতানা আহমেদ ও ইসরাফিল খোকন

 

Print Friendly

Related Posts