ভোলায় গৃহবধুকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা

ভোলা প্রতিনিধি : ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নে আরজু বেগম নামের এক গৃহবধুকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। গৃহবধুকে মূমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বরিশাল শেরেই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

রবিবার (১৫ জুলাই) ভোর রাতের দিকে ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়সূত্র জানায়, রবিবার ভোর রাতে ডাক চিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে এলে ঘরের মধ্যে মাটিতে গলাকাটা দেখতে পান। দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার সাথে কারা জড়িত তা এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি।

গৃহবধু আরজু বেগম (৩৫) ওই এলাকার বাসিন্দা রাজমিস্ত্রী মোঃ ফরিদের স্ত্রী। আরজু বেগমের তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মহিমা (১৪), মৌসুমী (৯), লামিয়া (৬) তারা স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়া-শুনা করে।

গৃহবধুর বড় মেয়ে মহিমা সাংবাদিকদের জানায়, আমার বাবা ঢাকায় রাজের কাজ করে। রাত ৯টার দিকে বাবা ফোন দেয়। ফোনে কথা বলা শেষ হলে আমরা সবাই রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যাই। আমি ও আমার ‘‘মা’’ এবং ছোট দুই বোন বাড়িতে থাকি এবং সবাই এক বিছানায় ঘুমাই। আমার ছোট বোনটি ফজরের আযানের সময় মা মা বলে কান্নাকাটি করে। তারপর আমার ও ছোট বোনের ঘুম ভেঙ্গে যায় এরপর পাশে তাকিয়ে দেখি মা বিছানায় নেই। ঘরের বিদ্যুৎ এর লাইট জ্বালিয়ে দেখি মা রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মাটিতে পড়ে আছে। তখন আমরা ডাক চিৎকার দেই। এ সময় বাড়ির আশে পাশের লোকজন ডাক চিৎকার শুনে এগিয়ে এসে মাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

এদিকে, মেয়ে মহিমা অভিযোগের তীর ছুড়েন পাশ্ববর্তী নুরুল ইসলামের পরিবারের দিকে। রয়েছে পূর্বে থেকে জমিজমার সমস্যা। গৃহবধু আরজুর স্বামী ফরিদ গত কয়েকদিন আগে আরজুকে দিয়ে ভোলা থানায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করায়। জিডি করার ২দিন পর এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায় গত কয়েকদিন আগে চলছিল অবিরাম নাটক, বসতঘরের পাশে মাটি খোড়াঁ হয়, ঘরের টিনের উপর বাজনা বাজানোও হয়।

সংবাদ লেখা পযর্ন্ত এঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে নুরুল ইসলাম (৬৫) এর তিন ছেলে ঢাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করে।

এঘটনার খবর পেয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মোঃ ছগির মিঞা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

Print Friendly

Related Posts