রাসেল হোসেন, ধামরাই: ঢাকার ধামরাইয়ে কালামপুর এলাকা থেকে শায়লা আক্তার নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে চিরকুট দেখে পুলিশের ধারণা পারিবারিক কলহের জেরে সে আত্মহত্যা করতে পারে। তবে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে বলছে পুলিশ। তবে নিহতর বড় বোনের অভিযোগ চিরকুট তার বোনের হাতের লেখা নয়।
বুধবার দুপুরে ধামরাইয়ের কালামপুরের গোলাম মোস্তফার ভাড়া বাড়ির ২য় তলা থেকে ফ্যানের সাথে ফাঁস লাগানো অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, দুপুরে ওই বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা রুমের মধ্যে গৃহবধূ শায়লা আক্তারের ফ্যানের সাথে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
মরদেহ উদ্ধারের সময় একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। সেখানে লেখা ছিল- আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমি ভাল না, তাই সবাই আমাকে ভুল বুঝে।
চিরকুটের উদ্ধারের পর পুলিশের ধারণা সে পারিবারিক কোন বিষয়ের জের ধরে আত্মহত্যা করতে পারে। তবে ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলেও বলছে পুলিশ। এছাড়া চিরকুটের হাতের লেখার সাথে নিহতের হাতের লেখা মিলিয়ে দেখা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, আমরা মরদেহটি উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।