ভোলায় কোরবানির পশুর হাট জমজমাট

জুবায়ের চৌধুরী পার্থ, ভোলা: আর মাত্র কয়েকদিন পড়েই মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আযহা। দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই ব্যস্ততা বাড়ছে কোরবানির জন্য পশু ক্রয়ের। তাইতো সবাই ভিড় জমাচ্ছে ভোলার পশুর হাটগুলোতে। তবে হাটে বিদেশী গরুর চেয়ে দেশী গরুর চাহিদা একটু বেশী।

ভোলা সদরে পশুর হাটগুলোর মধ্যে রাজাপুর, ইলিশা বাজার, পরানগঞ্জ বাজার, বাপ্তা স্কুল মাঠ, গোডাউন, ভেদুরিয়া, ভেলুমিয়া, আলীনগরসহ ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১০ থেকে ১৫টি বাজারে গরু বিক্রি করা হচ্ছে।

কয়েকটি হাটে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, হাটগুলোতে প্রাধান্য পাচ্ছে দেশীয় গরু। দেড় মন ওজনের দেশী ছোট গরু বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। দুই মন ওজনের গরু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। আর বড় সাইজের তিন থেকে সাড়ে তিন মন ওজনের গরু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। অন্যদিকে গতবারের তুলনায় এবারে ছাগলের দাম একটু বেশী। ১২ থেকে ১৪ কেজি ওজনের ছাগলের দাম ধরা হচ্ছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। ১৫ থেকে ১৮ কেজি ওজনের ছাগলের দাম ধরা হচ্ছে ১৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা। ২০ থেকে ২৫ কেজি ওজনের ছাগলের দাম ধরা হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা।

হাটে আসা মিলন বেপারী বলেন, গতবারের তুলনায় এবারের গরুর দাম অনেকটা বেশী। পশু খাদ্যের দাম ও পরিবহন খরচের অজুহাতে বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে নিচ্ছে। ফলে আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে এতো টাকা দিয়ে গরু কিনা আমার মনে হয় সম্ভব হবে না।

তবে বিক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা, তারা বলছেন দৈনন্দিন সব কিছুর দাম বাড়ছে। পশু খাদ্যে বস্তা প্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। পশুর খাদ্য, ঔষধ, পরিবহন খরচ সব মিলিয়ে আমরা গরু বিক্রির দাম নির্ধারণ করছি। আমাদেরওতো চলতে হবে, তা না হলে আমাদের যে না খেয়ে মরতে হবে।

হাটের ইজারাদাররা জানান, হাটে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত দেশী গরু উঠেছে। তারা বলেছেন গরুর দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। গরুর দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করলে হাটের ইজারাদরা বলেন, শুরুর দিকের তুলনায় শেষের দিকে গরুর দামটা সাধারন মানুষের নাগালের মধ্যে চলে আসবে।

Print Friendly

Related Posts