অষ্ট্রিয়ার পার্লামেন্ট নির্বাচনে নমিনেশন পেল ভোলার মাহমুদুর রহমান নয়ন

রিপন শান: আগামী ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০১৯ অষ্ট্রিয়ায় পার্লামেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে নমিনেশন পেয়েছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মাহমুদুর রহমান নয়ন। সে সদ্যবিদায়ী ক্ষমতাসীন দল অষ্ট্রিয়ান পিপলস পার্টি থেকে নমিনেশন পেয়েছেন। অস্ট্রিয়ান পিপলস পার্টির সেন্ট্রাল নমিনেশন বোর্ড মাহমুদুর রহমান নয়নকে ভিয়েনার ১৩, ১৪ এবং ২৩ নং ডিসট্রিক্টের নির্বাচনী এলাকা থেকে চূড়ান্ত নমিনেশন প্রদান করেছে।

নয়ন নমিনেশন পাওয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। অষ্ট্রিয়ার নিয়মানুযায়ী পার্টিকে ভোট দেবেন এখানকার নাগরিকরা। পার্টি বাছাই করে যাদের পার্লামেন্টে পাঠাবে তারাই হবে পার্লামেন্টের সদস্য।

১৮৩ টি আসনের অষ্ট্রিয়ান পার্লামেন্টে এর আগের ইলেকশনে ৬২টি আসন পায় পিপলস পার্টি । অন্যদিকে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি পায় ৫২ টি আসন এবং ফ্রিডম পার্টি পায় ৫০ টি আসন। অন্যান্য পার্টি পায় ১৯ টি আসন। সেই সময় পিপলস পার্টি এবং ফ্রিডম পার্টি সমঝোতা করে সরকার গঠন করে।

মাহমুদুর রহমান নয়নের প্রার্থিতার কথা নিশ্চিত করেছেন নয়নের বাবা অষ্ট্রিয়া বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি,অল ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা এবং দৈনিক ভোরের সংলাপ ও সেরাকণ্ঠের অল ইউরোপিয়ান ব্যুরো চীফ মাহবুবুর রহমান।

তিনি বলেন, অষ্ট্রিয়ার পার্লামেন্ট ইলেকশনে এর আগে কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাগরিক প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাননি। পিপলস পার্টি তার জনপ্রিয়তা অনুযায়ী ভোট পেয়ে নির্বাচিত হলে নয়নই হবেন প্রথম বাংলাদেশী অষ্ট্রিয়ার পার্লামেন্ট সদস্য ।

বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মাহমুদুর রহমান নয়নের জন্ম ১৯৯৫ সালে ভিয়েনায়। তিনি অষ্ট্রিয়ার নামকরা একটি উচ্চতর কারিগরি কলেজ থেকে অষ্ট্রিয়ার গ্রেড অনুযায়ী অনবদ্য ফলাফল করে।এই কলেজে থাকাকালীন অবস্থায় সে অষ্ট্রিয়ার কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের স্পিকার ছিলেন। এরপর ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ল্যাঙ্কাশায়ার ইউকে থেকে সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি অনার্স এ ফার্স্ট ক্লাস এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি তে ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হয় । এরপর সিনিয়র কনসালটেন্ট হিসেবে চাকরিতে যোগ দেয় জার্মানের একটি নাম করা আইটি কোম্পানিতে ।

প্রবাসে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশী তরুণরা নিজেদের কমিউনিটিতে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি স্থানীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়া জরুরী বলে মনে করেন নয়ন ।

তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে নয়ন সবার ছোট। তার বাবা ১৯৮৪ সালে ভিয়েনা আসেন।

Print Friendly

Related Posts