ভোলায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে

মোকাম্মেল হক মিলন:  ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ভোলার ২শতাধিক পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে।  সহায় সম্বল আর বসতভিটে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন তারা।  স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় মধ্যে পড়েছেন এসব ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার।

সূত্র জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ভোলায় আঘাত না হানলেও তার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।  যারফলে লালমোহন ও চরফ্যাশনের ৬টি ইউনিয়ন লন্ড ভন্ড হয়েছে। এ দুই উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ, গজারিয়া, হাজারিগঞ্জ, ওসমানগঞ্জ, নজরুল নগর, এওয়াজপুর ও কলমি এলাকার শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।

এছাড়াও ট্রলার ডুবিতে একজন নিহত হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৪ জন। নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ করছে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের সদস্যরা।

এদিকে ঘরবাড়ির পাশাপাশি ঝড়ের কবলে পড়ে বহু গাছপালা উপড়ে  গেছে, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। বিনষ্ট হয়েছে ৫৭ হাজার হেক্টর ফসলি জমি। এতে ঘরভিটা আর আয়ের উৎস হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ।  নতুন করে ঘর তুলতে না পারায় অনেকেই খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গিয়ে বহু এলাকা এখনো বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে।

ঝড়ের পর থেকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। কিভাবে নতুন করে ঘর তুলবেন সে চিন্তায় দিশেহারা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো।

লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান রুমি জানান, ঝড়ে উপজেলার দুটি ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য সব ধরনের সহযোগীতা করা হবে। তাদের চাল, নগদ টাকা ও টিন বিতরণ করা হবে।

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা ১০০ পরিবারের তালিকা তৈরী করেছি, তবে ক্ষতিগ্রস্তর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের ২০ কেজি করে চাল এবং শুকনো খাবার বিতরণ করেছি। এছাড়াও সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের এখনো চুড়ান্ত তালিকা হয়নি, তালিকা তৈরীর কাজ চলছে। আমাদের পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে, সবাইকে বিতরণ করা হচ্ছে।

Print Friendly

Related Posts