ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ॥ জয়ে শুরু আবাহনীর

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ-২০১৯ এর উদ্বোধনী দিনে সেঞ্চুরি এসেছে অভিজ্ঞ জহুরুল ইসলামের ব্যাটে। তাতে ভর করে দুইশ পেরোনো সংগ্রহ তুলে বিকেএসপির বিপক্ষে ৬০ রানের বড় জয়ে আসর শুরু করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী।

শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ২১৬ রান তোলে আবাহনী লিমিটেড। জবাব দিতে নেমে ৪০.৫ ওভারে ১৫৬ রানেই গুটিয়ে যায় বিকেএসপি।

জহুরুল এদিন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেছেন। তার অপরাজিত ১২১ রানের সংগ্রহটি ১৪৭ বলে খেলা, ১৩ চার ও এক ছক্কায় সাজানো।

অন্যদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস এসেছে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ব্যাটে। এ পেস-অলরাউন্ডার ৫৫ রানের ইনিংস খেলেছেন ৬ চারে।

বিকেএসপির হয়ে আবু নাসের ৩টি, হাসান মুরাদ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ফিফটিহীন ইনিংসে রাতুল ৩৭, অধিনায়ক কাইয়ুমের অপরাজিত ৩৮ রানে কোনরকমে দেড়শ পার করে বিকেএসপি।

নাজমুল ইসলাম ১০ ওভারে ৩০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আবাহনীর সেরা। সানজামুল নিয়েছেন দুটি উইকেট। মাশরাফীর অনুপস্থিতিতে অধিনায়কত্ব করা মোসাদ্দেক, সাইফউদ্দিন, রুবেল, আরিফুল ও সাব্বিরের ঝুলিতে গেছে একটি করে উইকেট।

রোমাঞ্চকর জয়ে শুরু রূপগঞ্জের

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ-২০১৯ এর উদ্বোধনী দিনে বিকেএসপিকে ৬০ রানে হারিয়ে আসর শুরু করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। একইদিনে রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিয়েছে রূপগঞ্জ। তবে নাসির-সোহানদের শেখ জামাল শেষে এসে তরী ডুবিয়েছে।

শুক্রবার ফতুল্লায় শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেটে ২৪৯ রান তোলে উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাব। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে এক উইকেট হাতে রেখেও ২৪০ রানের বেশি যেতে পারেনি শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। উত্তরা ম্যাচ জিতে ফেরে ৮ রানে। উত্তরাকে বড় সংগ্রহ এনে দেয় দুই ফিফটি। ওপেনিংয়ে তানজিদ ৬৪ ও মিডলঅর্ডারে সজিব অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংস খেলেন।

তানজিদের সঙ্গে উদ্বোধনীতে ১১৩ রান এনে দেয়া আরেক ওপেনার আনিসুলের ব্যাটে আসে ৪৭ রান। পরে রেজা ১৮ ও মিনহাজ ৩৮ রান তুলে আড়াইশ ছুঁই সংগ্রহ এনে দেন।

জবাব দিতে নেমে ফারদিন ওপেনিংয়ে ৩৯ রান তুলে ফিরলেও ইমতিয়াজ ৮ ও রাকিন ১১ রানে দলকে বিপদে রেখে যান।

সেখান থেকে প্রতিরোধ আনেন নাসির ও সোহান। নাসির হোসেন ধীরগতির ৭৮ বলে ৪৮ রানে ফিরলেও ৬৫ বলে ৬৫ তুলে দলকে কক্ষপথে রাখেন অধিনায়ক সোহান। তবে তাদের ফেরার পর শেখ জামাল কিছুটা পিছিয়ে পড়ে।

শেষদিকে জিয়াউর ২৭ বলে ২৭ ও ইলিয়াস সানি ২০ বলে ২৮ রানের দ্রুতগতির ইনিংস খেললেও শেখ জামালকে জয়ের বন্দরে নিতে পারেননি।

 

Print Friendly

Related Posts