নারীর উন্নয়নে মিডওয়াইফরা সাহসী ভূমিকা রাখছে ll গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমানো এবং নিরাপদ প্রজনন ব্যবস্থায় নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে মিডওয়াইফ। আর এই মিডওয়াইফদের সম্মিলিত কন্ঠস্বর ‌‘বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটি’ (বিএমএস) এর নবগঠিত নির্বাহী কমিটি রোববার (১৯ জুন) সকাল ১১ টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ অডিটোরিয়ামে একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।

বৈঠকের শ্লোগান ছিলো- “সুস্থ শিশু, সুস্থ মা-মিডওয়াইফ ছাড়া হবে না”

অনুষ্ঠানে ঢাকা নাসিং কলেজ, ইউএনএফপিএ, ব্র্যাক, নারীপক্ষ এবং টিএমএসএসসহ সহযোগী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মিডওয়াইফদের উৎসাহ প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মিডওয়াইফদের নিয়ে একটি গান পরিবেশন করা হয়।

ভাইস প্রেসিডেন্ট তামিম আক্তার তার বক্তব্যে বলেন, ২০১০ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত বিএমএসএর প্রাতিষ্ঠানিক ইতিহাস। ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বিএমএস ও রয়্যাল কলেজ অব মিডওয়াইফস (আরসিএম) এর টুইনিং প্রজেক্টের আওতায় মিডওয়াইফারি প্রোগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে ও প্রচারণায় সরকারি ও বেসরকারি সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এত বছরের পথচলায় এই অর্জনের ভাগীদার সংশ্লিষ্ট সকলেই। দেশের সার্বিক কল্যাণে মিডওয়াইফদের কার্যক্রমকে ছড়িয়ে দিতে হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইউনিয়ন সাব সেন্টার ও
জেলা-উপজেলায় হাসপাতালে নিরাপদ নরমাল ডেলিভারির জন্য মিডওয়াইফরা কাজ করছে।

অপ্রয়োজনীয় সিজার প্রতিরোধে ও মায়েদেরকে পরিবার পরিকল্পনায় কাউন্সিলিং ও সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও মিডওয়াইফদের ভ‚মিকা অনস্বিকার্য বলে মনে করেন বিএমএস এর জেনারেল সেক্রেটারি সংগীতা সাহা প্রেমা।

তিনি বলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতায় কর্মরত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকাগণদের মিডওয়াইফ সম-মান দেওয়ার লক্ষ্যে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য গত ১১ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা আশা এবং বিশ্বাস রাখছি কর্তৃপক্ষ মিডওয়াইফদের শিক্ষাগত এবং
গুনগত মান বিবেচনায় রেখে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

বিএমএস এর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দা মাহফুজা আক্তার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মিডওয়াইফরা কতটা কষ্ট করে কাজ করছেন তা তুলে ধরেন। সফলতার উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইউনিয়ন সাব সেন্টার ছাড়াও রোহিঙ্গা রিফুজি ক্যাম্পগুলোতে কাজ করছেন মিডওয়াইফরা- সে বিষয়ে আলোকপাত করেন কার্যনির্বাহী সদস্য আরেফিন মিম।

ব্র্যাক, নারীপক্ষ এবং ইউএনএফপিএ’র কর্মকর্তারা মিডওয়াইফ এবং বিএমএসের কাজের প্রশংসা করেন। নারীর উন্নয়নে মিডওয়াইফরা সাহসী ভুমিকা রাখছে বলে তারা মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিএমএস এর প্রজেক্ট ম্যানেজার শারমিন শবনম জয়া।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটি’র (বিএমএস) সভাপতি সাকিলা মতিন মৃদুলা ‘আমি সেই মেয়ে’ কবিতাটি মিডওয়াইফদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে আবৃত্তি করেন।

Print Friendly

Related Posts