চাঁদাবাজি রোধে ডিসি ও এসপিদের চিঠি

বিডিমেট্রোনিউজ আসন্ন ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশু পরিবহনে বাধা বিপত্তি দূর ও চাঁদাবাজি রোধ করতে দেশের সব জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারকে (এসপি) প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ করেছে কৃষি বিপণন অধিদফতর।

 

সম্প্রতি অধিদফতরের মহাপরিচালক মাহবুব আহমেদ চিঠি পাঠিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের এ অনুরোধ জানান।

চিঠিতে মাহবুব আহমেদ বলেছেন, ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী কোরবানির পশুর চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোরবানির পশু পরিবহন একান্ত জরুরি। কিন্তু পরিবহনে বাধা-বিপত্তি ও অবৈধ চাঁদাবাজির ফলে পশুর দাম বেড়ে যায়। এতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকেন।

তাই দেশের বিভিন্ন হাটবাজার ও অস্থায়ী পশুর হাটে কোরবানির পশু নির্বিঘ্নে পৌঁছানো এবং অবৈধ চাঁদাবাজি রোধকল্পে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন বলে ওই চিঠিতে বলা হয়।

প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয় ও চামড়া ব্যবসায়ীদের হিসেবে কোরবানির সময় সারাদেশে ৬৫ থেকে ৭০ লাখ পশু কেনাবেচা হয়ে থাকে। সাধারণত কোরবানির এক সপ্তাহ আগে থেকে এসব পশু দেশের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবহন করা হয়। বিশেষত রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে অস্থায়ী হাটকেন্দ্রিক পশু পরিবহন বেশি হয়।

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সড়ক ও নৌ পথে এসব হাটে পশু নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হাটে পশু নিয়ে আসার সময় তাদের চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের হয়রানির মুখোমুখি হতে হয়।

Print Friendly

Related Posts