মেট্রো নিউজ,পাবনা : অশ্লীল ছবির জোয়ার, ভিডিও পাইরেসি, আকাশ সংস্কৃতির দাপট আর ভালোমানের ছবির অভাব- এসব নানা কারণে একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পাবনার সিনেমা হলগুলো। ইতিমধ্যে জেলার ২৬টি সিনেমা হলের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ১৯টি, আর বর্তমানে কোনোরকমে টিকে আছে সাতটি সিনেমা হল।
লোকসানের বোঝা টানতে না পেরে সিনেমা হল বন্ধ করে অন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন মালিকরা।
পাবনা জেলার সিনেমা হলগুলোর মধ্যে সদর উপজেলায় সিনেমা হল পাঁচটি। এগুলো হলো বাণী, বীণা, রূপকথা, অনন্ত, আনন্দ। এর মধ্যে চালু রয়েছে বাণী, বীণা ও রূপকথা। অন্তত ও আনন্দ বন্ধ প্রায় ১০ বছর।
ঈশ্বরদী উপজেলায় ছয়টি সিনেমা হলের মধ্যে চালু রয়েছে স্বপ্না ও রাজমনি নামের দুটি। আর প্লাজা, রাজু, ঝলক ও সেতু সিনেমা হল বন্ধ পাঁচ থেকে আট বছর ধরে। ভাঙ্গুড়া উপজেলায় তিনটি সিনেমা হলের মধ্যে চালু মৌচাক নামের একটি হল।
আর পাইলট ও রংধনু সিনেমা হল বন্ধ ১৫ থেকে ২৩ বছর ধরে। চাটমোহরে তিনটির মধ্যে কোনোরকমে চলছে লাভলী সিনেমা হল নামের একটি। আর প্রেরণা ও অর্পণ সিনেমা হল দুটি বন্ধ ১১ থেকে ১৫ বছর। এ ছাড়া বেড়া উপজেলায় ইছামতি ও মন্দিরা নামের সিনেমা হল দুটি বন্ধ তিন থেকে পাঁচ বছর ধরে।
ফরিদপুর উপজেলার দুটি সিনেমা হলের মধ্যে মধুমিতা সিনেমা হলটি মাঝে মধ্যে চললেও ছয় বছর ধরে বন্ধ বলাকা সিনেমা হলটি। আটঘরিয়া উপজেলার একমাত্র উপহার সিনেমা হলটি ১০ বছর বন্ধ। সুজানগর উপজেলার নন্দিতা সিনেমা হল এক বছর এবং সাঁথিয়া উপজেলার তিনটি সিনেমা হল শাপলা, সাথী ও সোহাগ বন্ধ ১০ থেকে ১৫ বছর।