বিডি মেট্রোনিউজ ।। ন্যাশানাল হেরাল্ড মামলায় চাপে থাকা সোনিয়া গান্ধীর মুখে তাঁর প্রয়াত শাশুড়ির নাম। সোনিয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জোর গলায় বলে ওঠেন, ‘আমি ইন্দিরা গান্ধীর পুত্রবধূ। কাউকে ভয় পাই না। কোনভাবেই বিচলিত নই আমি।’
এদিকে, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া, রাহুলের জেলযাত্রা নিশ্চিত বলে জানালেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। এক সাক্ষাৎকারে স্বামী বলেন, হেরাল্ড মামলায় কোনও জটিলতা নেই। সোনিয়া ও দলের সহ-সভাপতির যে তিহার জেলে যাচ্ছেনই, তা নিয়ে কোনও সবন্দেহ নেই।
কংগ্রেসের অভিযোগ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীকে সামনে রেখে, পিছন থেকে প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করছে মোদী সরকার। রাহুল গান্ধীও এই ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা নিয়ে আজ সংসদে তুলকালাম হয়। কংগ্রেস সাংসদদের বিক্ষোভে দফায় দফায় লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিতে বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীকে ফাঁসিয়েছে, এই অভিযোগে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস সাংসদরা।
ন্যাশনাল হেরাল্ড নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার। দাবি কংগ্রেস নেতা অস্কার ফার্নান্ডেজের। তাঁর যুক্তি, ভোটে হেরে যাওয়ার পর ইন্দিরা গান্ধীও শাসকের হামলার শিকার হয়েছিলেন।
পক্ষপাতদুষ্ট বিজেপি সরকার। আক্রমণ শানাল কংগ্রেস। গুলাম নবি আজাদের অভিযোগ, দেশে এখন দুরকম আইন চালু করেছে বিজেপি সরকার। একটি নিজেদের জন্য । অন্যটি বিরোধীদের জন্য।
শুধু সংসদ নয়, ন্যাশনাল হেরাল্ড বিতর্কের আঁচ ছড়িয়ে পড়ল রাজপথেও। আজ তিনমূর্তি ভবনের সামনে থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে রওনা হয় মিছিল। মাঝ পথেই মিছিল আটকায় পুলিস। জমায়েত থেকে গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের আওয়াজ ওঠে। বেশ কয়েকজন কংগ্রেসকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিস।