ভূত কাকে ভয় পায় ? হ্যাঁ, লাখ টাকার প্রশ্নই বটে। মানুষ তো ভূতের নাম শুনলেই কুপোকাত। আর দেখে ফেললেই হল, তার আত্মারাম খাঁচাছাড়া। কিন্তু ভূত নিজে ভয় পায়টা কাকে? এক নজরে দেখে নিন, কোন পাঁচটি জিনিসকে ভূতেরাও ভয় পায়।
১) জিরাফ – ও মা, চমকে উঠলেন? ভাবছেন, জিরাফের সঙ্গে আবার ভূতের সম্পর্ক কী? আছে, মশাই আছে। দেখেন না, আফ্রিকাতে ভূতের কত গল্প। ভূতেরা তো গোটা আফ্রিকা জুড়েই থাকত। আর থাকত, মানে কোথায় থাকতো? নিশ্চয়ই গাছে। আর ওই লম্বা লম্বা জিরাফগুলো গাছের সব পাতা মুড়িয়ে খেয়ে নিত। ব্যাস, ভূতের থাকার জায়গা হয়ে যেত একেবারে অনাবৃত। ভূতের কাছে জিরাফ অনেকটা ওই বস্তি ভাঙতে আসা বুলডোজারের মতো। খুব ভয় পায় তাই।
২) শুকনো লঙ্কা – ভূতেরা খুবই ভয় পায় শুকনো লঙ্কাকে। কারণ, শুকনো লঙ্কা লাল হয়। ভূতেরা এই লাল রঙটাকে একেবারেই পছন্দ করে না। কারণ, ওদের শরীরে রক্ত থাকে না। বরং, জীবন্ত অবস্থায় এই লাল রঙা রক্তটাই তো ছিল সব। যদি আবার এই লাল রঙের কিছু এসে ওদের জীবন দিয়ে দেয়। ভূতেদের কাছে জীবন তো মৃত্যুরই সমান। তাই শুকনো লঙ্কার কাছে, ভূতেদের একেবারেই নো এন্ট্রি।
৩) ঝাঁটা – হ্যাঁ, ভূতেদের খুব ভয় ঝাঁটাকে। কারণ, খুব সহজ। ভূতেরা কিন্তু একদম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নয়। ওদের কাছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকাটাই নোংরামির সমান। যে বস্তু দিয়ে পরিষ্কার হয়, তা ওরা একদম পছন্দ করে না। এই যে দেশজুডে় ‘’স্বচ্ছ ভারত অভিযান’’ হচ্ছে, মানুষের জন্য এটা খুবই উপকারি। কিন্তু ভূতদের কাছে এটা একেবারেই না পসন্দ। ওদের লুকোনোর জায়গার অভাব হয়ে যাচ্ছে যে।
৪) মাছরাঙা – ভূতেরা মাছরাঙাকে খুবই ভয় পায়। আসলে ওরা মাছ খেতে খুবই ভালবাসে। আর মাছ খেতে মাছরাঙার থেকে কেই বা ভালবাসে? শুধু ভালবাসলে তাও হত। মাছরাঙাগুলো এত বদ যে, ওই উপর থেকে এক মুহূর্তে ছোঁ মেরে ওরা মাছ মুখে নিয়ে চলে যায়। ভাবুন তো, নিজের মুখের গ্রাস যে সবসময় কেড়ে নেয়, তাকে কেউ ভালভাবে নেয়? ভূতেরা তাই মাছপ্রিয় খুব, কিন্তু মাছরাঙাকে ওরা খুব ভয় পায়।
৫) ডাক্তার – হ্যাঁ, ডাক্তারদের ভূতেরা খুব ভয় পায়। বোঝার চেষ্টা করুন, ডাক্তারের কাজ মানুষকে বাঁচানো। মানুষের কাছে বেঁচে থাকাকালীন, জীবনই সব। আর ভূতেদের কাছে তো মরণটাই সব। এমন কেউ, যে জীবন দিতে পারে, তাকে ভূতেরা ভয় পাবে না? ওদের কাছে তো বেঁচে ওঠাটা মরে যাওয়ারই সমান। তাই ডাক্তাররা ভূতেদের কাছে একপ্রকারের খুনি!