বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বহু বর্ণিল প্রজ্ঞাপ্রবর সৈয়দ আলী আহসান। সৈয়দ আলী আহসান ছিলেন এক অসামান্য প্রতিভার অধিকারী।
শিক্ষা, শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি, ধর্ম, দর্শন, চিত্রকলা, দেশ, রাষ্ট্র, বক্তৃতা এমনকি রন্ধনশৈলী বিষয়েও তার আগ্রহ, উদ্দীপনা এবং মননের কোনো কমতি ছিল না। সৈয়দ আলী আহসান একজন শিক্ষাবিদ ছিলেন। শিক্ষার ক্ষেত্র রয়ে গেছে তার বিশাল অবদান। কিন্তু সেটাই তার জন্য একমাত্র কোনো বিশেষণ নয়।
এমন কি তিনি যে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের ছাত্র হয়েও বাংলায় অধ্যাপনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে, এই ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্তও আমাদের জন্য ততোটা বিস্ময়কর নয়-যতোটা ঘটেছে তার প্রজ্ঞাদীপ্ত সমুদ্রমান ব্যাপক শিল্প-সাহিত্যের কর্মধারায়।
শিক্ষা বিস্তারটি তার মৌল চিহ্নিত করণে যথেষ্ট নয়। বরং এর বাইরের বিশালত্বই সৈয়দ আলী আহসানকে শনাক্তযোগ্য করে তোলে অনেক বেশি।
তিনি নিজে লিখেছেন। সাহিত্যের মৌলিক বহু শাখা-প্রশাখায় অবিশ্রান্তভাবে বিচরণ করেছেন। তার অসাধারণ গদ্যশৈলী কিংবা ভাষাভঙ্গির দৃষ্টান্ত কেবল বাংলাদেশেই নয় এই উপমহাদেশে নজিরবিহীন।
বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ফরিদা হোসেন সম্পাদিত ‘অবিনশ্বর’ সাহিত্য পত্রিকা তাদের নভেম্বর-ডিসেম্বর ২০১৬ সংখ্যায় সাহিত্যে প্রজ্ঞাবান এই মহানায়ককে নিয়ে সংকলন করেছে। ‘সৈয়দ আলী আহসান সংখ্যা’ শিরোনামে বইটি প্রকাশ পাওয়া যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সাহিত্য সংগঠন পিইএন (পেন)-এর বাংলাদেশ সেন্টারের স্টল নং ৩৭ (বাংলা একাডেমি মূল চত্বর)-এ।
অবিনশ্বরের এই বিশেষ সংখ্যাটি সম্পাদনা করেছেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মুহাম্মদ নিযামুদ্দীন। বইটিতে তার সাহিত্য দর্শন, কর্মময় জীবন নিয়ে দেশের শীর্ষ পর্যায়ের খ্যাতিমান লেখকরা লিখেছেন।
যাদের লেখা স্থান পেয়েছে তার হলেন- অন্নদাশঙ্কর রায়, আবুল ফজল, ড. কাজী দীন মোহাম্মদ, সৈয়দ আলী আশরাফ, আলাউদ্দিন আল আজাদ, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, আসকার ইবরে শাইখ, ফজল শাহাবুদ্দিন, ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, আবদুল মান্নান সৈয়দ, বিপ্রদাশ বড়ুয়া, ফজল শাহাবুদ্দিন, আল মুজাহিদী, রোকেয়া সুলতানাসহ আরো অনেকে।
আকষর্নীয় ঝকঝকে মলাটে প্রচ্ছদটি দৃষ্টি কাড়ার মতো। সৈয়দ আলী আহসান সম্পর্কে তথ্য জানতে বইটি সকলের জন্য তথ্য সংগ্রহে বেশ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে বলে ‘অবিনশ্বর’ সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক কথাসাহিত্যিক ফরিদা হোসেন জানান।