এক
এই ঘরেতে সেদিন তোমরা সাকী-সুরায় ছিলে মেতে,
জানো এরই ভিতের তলে কতো মৃত কাঁদছে খেদে?
ধরায় এখন মত্ত গানে, ভয়ে-কেঁদে হবেই পাগল,
ওদের ক্ষোভের ধ্বনি যদি হৃদয়-কর্ণে শুনতে পেতে।
দুই
ওগো সাকী নীরব কোনো বাটিতে নেই মোটেই সুরা,
পিপাসা তো ছাড়িয়েছে হিমালয়ের শিখর-চুড়া।
কেনো তুমি দাও না দেখা কী অপরাধ করছি বলো,
সুরা ছাড়া বাজছে না যে জীবনবোধের এ তানপুরা।
তিন
সুরা যতোই পান করে যাই পিপাসা তো ততোই বাড়ে,
ওগো সাকী রাগ করো না ডাকছি বলে বারে বারে।
তুমি যদি দূরে থাকো কার কাছেতে যাবো বলো,
সুরার ঘোরটা কেটে গেলেই ইবলিশ আসে পুন ধারে।
চার
রঙিনসুরা-সাকীর মাঝেই সারাক্ষণটা যায় তো কেটে,
মনের যতো কুবাসনার কাঁটা-লতা ফেলি ছেঁটে।
ক্ষণস্থায়ী এই ভুবনে মাতবো কেনো বৃথা কাজে,
সেই যে মহান প্রভুর সাথেই সম্পর্কটা রাখবো এঁটে।