বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ গুলশান-ই-ইয়াসমিন একজন প্রতিভাবান লেখক। তিনি দু’হাতে লিখে চলেছেন। একাধারে তিনি কবি, চিত্রশিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী, ঔপন্যাসিক, ছড়াকার, গল্পকার। আছে বিজ্ঞান কল্পকাহিনীও। সাহিত্যের প্রায় সকল শাখায় বিচরণ তাঁর।
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে তিনি একজন সাংস্কৃতিক সংগঠক। তিনি তাঁর সামর্থ্য অনুযায়ী শুধু নিজগুণে আর্টকালচার নিয়ে অসাধ্য সাধন করে চলেছেন। এ পর্যন্ত চল্লিশটিরও বেশি বই প্রকাশিত হয়েছে তার। আবার তার লেখা গল্পে শিশু চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে শিশু একাডেমি থেকে।
তিনি বাংলা একাডেমিরও আজীবন সদস্য। দরিদ্র কিশোরীদের তিনি শিখিয়েপড়িয়ে নতুন জীবন দিয়েছেন এমন নজিরও রয়েছে। তিনি সৃজনশীল বিত্তহীনদের প্রতিও সাধ্যানুযায়ী অকাতরে হাত বাড়িয়ে দেন। আজকের যুগে যা একেবারেই বিরল।
প্রতিভাবান এই লেখকের নামে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন চামুড্ডা এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ‘কবি গুলশান-ই-ইয়াসমিন লেন’ করে বিরল সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। এমন কী তার কবি গুলশান-ই-ইয়াসমিন কুঞ্জ নামাঙ্কিত ফলকও তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই এই নামফলক উন্মোচন করবেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।
এ ব্যাপারে আলাপকালে কবি গুলশান-ই-ইয়াসমিন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, প্রতিমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এই পাওয়া আমার জীবনে অসীম প্রেরণা হয়ে থাকবে।’
এ ছাড়া তিনি সকলের প্রতি ৪৭ তম স্বাধীনতা দিবসেরও শুভেচ্ছা জানান।