এক
তোমার পিতামহের ছিল বিপুল সম্পদ অর্থ-কড়ি,
কিছুই আজি পেলে না তার, নিয়ে গেল সময়-তরি।
সব ইতিহাস জেনেও তুমি ওষ্ঠ দুটো বন্ধ রেখে-
বলছো শুধু পিতার ঘরে ছিল নাতো কোনোই ঘড়ি।
দুই
অলি-গলি চিনলে হাজার তাই ঘরের পথ গেলে ভুলে,
ও ক্ষণিকের পান্থ কেনো মুক্ত হলে শিকল খুলে?
কালরাতে আজ ঘরে ফেরার ঠিকানা না পাচ্ছ খুঁজে,
দেখো চেয়ে শ্বেত-কুয়াশা জমছে তোমার দাড়ি-চুলে।
তিন
রাতের কালো কাফন কখন সরিয়ে দিল রবির আলো,
এতটুকু টের পেলাম না, বধূর বলি প্রদীপ জ্বালো।
কী ঘুমেরই কফিন মাঝে আটকে ছিলাম জানি না তা,
কীভাবে যে যাচ্ছে সময় সেই দিকে না মন তাকালো।
চার
নানান রঙের স্বপ্ন দেখে কালের নদে সাঁতার কাটি ,
জানি না তো এই জলে কী ডুবে জীবন হবে মাটি!
কেমন সুরা পান করালে এতদিন ও প্রাণের সাকী,
বলো কেনো আজও ধ্বংস হয়নি ষড় রিপুর ঘাঁটি?