প্রথম দর্শনে প্রেম! এ আবার হয় নাকি? হয়, আজও হয়। এই তো, আমারই হল। হল বিয়েবাড়িতে। নাম ট্যারা। এরকম নাম যে কারও হয়, তা জানা ছিল না। প্রথমে খেয়াল করিনি। খেয়াল হল তখনই, যখন দেখলাম সবাই একজনকে ট্যারা ট্যারা বলে ডাকছে। তারপর তাকে দেখলাম। দেখেই প্রেমে পড়ে গেলাম। মেয়েটি এমন কিছু রূপবতী নয়। শ্যামলা রঙ, মুখের মধ্যে একটা স্নিগ্ধতা আছে। কিন্তু আমার ভাল লাগল ওর ট্যারা চোখ। আমি তার দিকে কিছুক্ষণ মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলাম। সে আমার দিকে তাকাচ্ছে কিনা, তা বুঝতে পারলাম না। তাহলে সে কার দিকে তাকাচ্ছে? কে সেই ভাগ্যবান? ট্যারার জন্যে আমার বুকের ভিতরটা কীরকম করতে লাগল। ট্যারার পরিচয় জানা দরকার। জানা দরকার কে ওর বাবা, কে ওর মা। জানা দরকার ওরা কোথায় আছে।
এই সময় আমার এক বন্ধু আমার সামনে এসে দঁাড়াল। জিজ্ঞেস করল, খাওয়াদাওয়া হয়েছে?
বললাম, এখনও হয়নি।
তাহলে বসে পড়।
পড়ছি। তবে তার আগে আমার একটা কথা জানার ছিল।
কী কথা?
আমি তখন ওই ট্যারা মেয়েটিকে দেখিয়ে বললাম, ওই যে ট্যারা মেয়েটিকে দেখছিস— বলে জিজ্ঞেস করলাম, ওকে চিনিস?
বন্ধুটি বলল, চিনব না কেন? ও আমার মামাতো বোন। ওকে নিয়ে মামার চিন্তার শেষ নেই।
কেন?
ওর বিয়ে হচ্ছে না। কেউ ওকে পছন্দ করছে না। ট্যারা বলে সবাই মুখ বেঁকিয়ে চলে যাচ্ছে।
আমার তো ট্যারা বলেই ওকে ভাল লেগেছে। ও যে লক্ষ্মী ট্যারা। ওই ট্যারা মেয়ের জন্যে আমি হাওড়ার ব্রিজ থেকে গঙ্গায় ঝঁাপ দিতে পারি।
বন্ধুটি থেমে বলল, তুই ওকে বিয়ে করবি?
করব।
তুই ট্যারা সম্পর্কে কিছু না জেনে এরকম কথা বলিস না।
এ কথা বলছিস কেন?
তুই একটা শিক্ষিত ছেলে। আর ট্যারা হায়ার সেকেন্ডারি ফেল।
তা হোক।
কী বলছিস তুই?
ঠিক বলছি। আমার কাছে লেখাপড়া কোনও ব্যাপার নয়।
না হতে পারে। কিন্তু ও অসুস্থ।
মানে?
ওর হাঁপানির দোষ আছে।
তা থাক। আমি ডাক্তার দেখিয়ে অসুখ ভাল করে দেব।
হাঁপানি কি ভাল হয়?
না হোক। কিন্তু ওর ট্যারা চোখ কত সুন্দর বল তো! আমি ওর ট্যারা চোখের প্রেমের পড়ে গেছি।
বন্ধুটি হেসে বলল, ঠিক আছে। পরে এ নিয়ে কথা বলা যাবে। এখন খেতে চল।
আমি আর কথা না বাড়িয়ে ট্যারাকে দেখতে দেখতে খেতে গেলাম।
কিন্তু খাব কী? কিছু্ই খেতে ইচ্ছে করছে না। সবসময় ট্যারার মুখ চোখের সামনে ভেসে উঠছে। খাবারের থালায় ভেসে উঠছে ট্যারার চোখ। মাছ খেতে গিয়ে মনে হচ্ছে ট্যারার চোখ খাচ্ছি। মনে মনে বললাম, ট্যারা মেয়ে আমার চাই। ট্যারা ছাড়া কোনও মেয়েকে আমি বিয়ে করব না।
২ ||
দুদিন পরে ট্যারার জন্যে আমার মন কেমন করতে লাগল। ট্যারার সঙ্গে আমার আলাপ হওয়া দরকার। ভালবাসার কথা বলা দরকার। তার জন্যে চাই পার্ক কিংবা রেস্তোরঁা কিংবা নন্দন চত্বর। কিন্তু কী করে আলাপ করব? বন্ধুর কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে ট্যারার বাড়ি চলে যাব? ট্যারাকে আড়ালে ডেকে নিয়ে বলব সেই কথাটা? কী কথা? ট্যারার হাত ধরে বলব: আমি তোমাকে ভালবাসি। দূর! এ কথা বলা যায় নাকি? তাহলে কী কথা বলব? বলব: তোমাকে আমার চাই। না, এ কথাও বলা যায় না। বলতে পারব না। তাহলে কী বলব? আমি বরং তার চোখের দিকে তাকিয়ে বলব: তোমার চোখ দুটো কী সুন্দর! এ কথা শুনে ট্যারা কি খুশি হবে? নাকি আমার ওপর রেেগ যাবে? যেতে পারে। ভাববে, আমি ঠাট্টা করছি। কিন্তু এ তো ঠাট্টার কথা নয়। এ তো অনুরাগের কথা। ট্যারা কি সে কথা বুঝবে?
দূর ছাই! আমার মাথায় কিছু আসছে না। ফলে কী করব, তা বুঝতে পারলাম না। না পেরে আনমনা হয়ে আমার দিন কাটতে লাগল। মা–বাবার চোখে এটা ধরা পড়ল।
একদিন মা জিজ্ঞেস করল, কী হয়েছে তোর?
বললাম, কিছু হয়নি তো।
মিথ্যে কথা।
সত্যি বলছি। কিছু হয়নি।
বাজে কথা। হয়েছে, কিছু একটা হয়েছে।
কী করে বুঝলে?
মাঝে মাঝে দেখি তুই উদাস হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকিস। মাঝে মাঝে দেখি তুই বিড়বিড় করে কবিতা আওড়াচ্ছিস। মাঝে মাঝে দেখি তুই দীর্ঘশ্বাস ফেলছিস? কী হয়েছে তোর? কোনও মেয়ের পাল্লায় পড়েছিস?
এবার আর সত্য গোপন করতে পারলাম না। বললাম, হ্যাঁ।
মা জানতে চাইল, কোন মেয়ের পাল্লায় পড়েছিস?
বললাম, একটা ট্যারা মেয়ের।
মা অাঁতকে উঠল, ট্যারা মেয়ে?
হ্যাঁ। ট্যারা চোখের মেয়েকে যে এত সুন্দর দেখতে হয়, তা জানতাম না।
কোথায় দেখলি তাকে?
একটা বিয়ে বাড়িতে।
মেয়েটার সঙ্গে আলাপ হয়েছে?
না।
তাহলে প্রথম দর্শনেই প্রেম?
লজ্জার মাথা খেয়ে বললাম, হ্যাঁ।
মা তা শুনে বলল, এখন কী হবে তাহলে? ডাক্তার ডাকব?
আমি বললাম, ডাক্তার কী করবে?
মা বলল, এটা অসুখ। আমি কোনওদিন শুনিনি একটা সুস্থ স্বাভাবিক শিক্ষিত ছেলে একটা ট্যারা মেয়ের পাল্লায় পড়েছে।— বলে মা একটু থেমে বলল, তোর বাবাকে কথাটা বলা দরকার। দেখি তোর বাবা কী বলে।
আমি এ কথায় বিব্রত হয়ে বললাম, না। বাবাকে এ কথা বোলো না। বাবা এ কথা শুনলে রাগ করবে।
মা বলল, রাগ করাই তো স্বাভাবিক। এ কথা শুনলে শুধু তোর বাবার কেন, সকলের রাগ হবে।
বললাম, আমি কারও রাগকে ভয় পাই না। শুধু বাবার রাগকে ভয় পাই।
সেই কারণেই তো কথাটা তোর বাবাকে বলা দরকার।
কিন্তু বাবা এ কথা শুনে কী করবে? আমাকে দুটো গালমন্দ করবে। এর বেশি তো কিছু নয়। আর গালমন্দ করলে আমার মন আরও খারাপ হয়ে যাবে। এটা কি ভাল হবে?
মা বলল, ভালমন্দ জানি না। কথাটা তোর বাবার জানা দরকার।
আমি উদাসীন গলায় বললাম, যা খুশি করো।
৩ ||
আমাকে বাবা কিছু বলল না। তার বদলে বাবা একদিন এক ডাক্তার নিয়ে এসে হাজির হল।
আমি জিজ্ঞেস করলাম, ডাক্তার কেন?
বাবা বলল, তোর যা অসুখ, তা ডাক্তার ছাড়া ভাল হওয়ার নয়।
আমি বললাম, কে বলেছে এ কথা?
মা পাশেই ছিল। বলল, আমি বলেছি।
আমি বিরক্ত হয়ে বললাম, তোমাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
বাবা বলল, মাথা খারাপ আমাদের হয়নি। মাথার খারাপ হয়েছে তোর। নইলে জানাশুনো নেই, এমন ট্যারা মেয়েকে তোর পছন্দ হয়ে গেল! আর তার জন্যে উদাসীন হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকছিস, কবিতা আওড়াচ্ছিস, দীর্ঘশ্বাস ফেলছিস! লোকে শুনলে যে ছ্যা ছ্যা করবে।
আমি বললাম, করুক। ওই ট্যারা মেয়েকেই আমার চাই। আমি ওকেই বিয়ে করব।
ডাক্তারবাবু বললেন, এ এক বেয়াড়া অসুখ। একশো বছর আগে এই অসুখে ছেলেরা ভুগত। এখন আর কেউ এ অসুখে ভোগে না।— বলে ডাক্তারবাবু আমার নাড়ি টিপলেন, প্রেসার মাপলেন, জিভ দেখলেন, চোখ দেখলেন। দেখে বললেন, নাড়ি চঞ্চল। প্রেসার একটু বেড়েছে। আমি ঘুমের ওষুধ দিচ্ছি। ওর এখন ঘুম দরকার। ঠিকমতো ঘুমোলে এ অসুখ ভাল হয়ে যাবে। এতে যদি কাজ না হয়, তাহলে মানসিক রোগের হাসপাতালে ভর্তি করে দিন। অথবা আর এক কাজ করতে পারেন।
বাবা কৌতূহলী হয়ে জানতে চাইল, কী কাজ?
ডাক্তারবাবু উত্তরে বললেন, যে ট্যারা মেয়েটিকে ওর পছন্দ হয়েছে, তার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিন।
মা জানতে চাইল, এতে অসুখ ভাল হবে?
ডাক্তারবাবু হেসে বললেন, আশা করছি ভাল হবে।
মা তা শুনে বাবাকে বলল, তুমি তাহলে মেয়েটার বাবার সঙ্গে কথা বল। মেয়েটাকে দেখো। খোঁজখবর নাও। যদি তোমার পছন্দ হয়, তাহলে বিয়ের ব্যবস্থা কর। আর ট্যারা চোখ এখন কোনও সমস্যা নয়। শুনেছি অপারেশন করে ট্যারা চোখ ঠিক হয়ে যায়।
আমি বললাম, না মা। ট্যারা চোখ ঠিক করতে যেও না। ওর চোখ ট্যারা বলেই ওকে ভাল লেগেছে। ট্যারা চোখ ভাল হয়ে গেলে ওকে আর ভাল লাগবে না।
মা বলল, ঠিক আছে। তাই হবে। কিন্তু ওর কোনও অসুখবিসুখ নেই তো?
বললাম, আছে।
মা চমকে উঠে জিজ্ঞেস করল, কী অসুখ?
হাঁপানি।
এবার মা–বাবা দুজনেই বলে উঠল, হঁাপানি!
আমি বললাম, হ্যাঁ। কী যায় আসে হাঁপানিতে? ওর যে একটা বড় গুণ আছে— তা জানো?
বাবা জিজ্ঞেস করে, কী গুণ?
বললাম, ও হায়ার সেকেন্ডারি পাস করেনি। ফলে ও কোনওদিন তর্ক করবে না। যা বলব, তা–ই শুনবে।
বাবা এবার গম্ভীর গলায় বলল, এ বিয়ে হতে পারে না। অসম্ভব।
মা বলল, এখনই সিদ্ধান্ত নিও না। আগে মেয়েটাকে দেখ। তারপর সিদ্ধান্ত নিও।
বাবা বলল, তুমি যখন বলছ, তা–ই হবে।
আমার মুখে এবার হাসি ফুটল।
৪ ||
হাসি তো ফুটল, কিন্তু সমস্যা থেকে গেল। ট্যারা কোথায় থাকে জানি না। কীভাবে তার কাছে পৌঁছব? কীভাবে তার বাবার সঙ্গে কথা বলব? এই সমস্যার সমাধান করতে পারে আমার বন্ধু। বন্ধুটি তার ভাইয়ের বিয়েতে দুদিনের জন্যে এসেছিল। তারপর আমেরিকায় চলে গেছে। ওর ফোন নম্বর আমার কাছে আছে। আমি বন্ধুটিকে ফোন করলাম। আমাদের মধ্যে এইরকম কথাবার্তা হল:
তোকে একটা জরুরি দরকারে ফোন করেছি।
কী দরকার?
তোর মামাতো বোন ট্যারাকে বিয়ে করতে চাই।
কেন?
আমি ওর ট্যারা চোখ ভুলতে পারছি না।
এর জন্যে আমাকে কী করতে হবে?
তুই ওর বাড়ির ঠিকানাটা দে। আর ওর বাবার ফোন নম্বরটা দে।
লিখে নে।— বলে বন্ধু ট্যারার বাড়ির ঠিকানা দিল। সেই সঙ্গে ট্যারার বাবার মোবাইল নম্বর দিল।
আমি এবার বন্ধুকে বললাম, তুই আমার কী উপকার করলি, তা বলে বোঝাতে পারব না। তোকে অসংখ্য ধন্যবাদ। —বলে একটু থেমে বললাম, তুই আরেকটা উপকার আমার করে দে।
বন্ধুটি জানতে চাইল, কী উপকার?
তুই ট্যারার বাবাকে ফোন করে জানিয়ে দে, আমি ট্যারাকে বিয়ে করতে চাই। ট্যারার বাবা যেন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমার ফোন নম্বরটা ট্যারার বাবাকে দিয়ে দিবি।
দেব। কিন্তু তোর এই পাগলামিটা আমার ভাল লাগছে না।
না লাগুক। তুই শুধু আমার হয়ে এই উপকারটা করে দে। তারপর যা করার আমি করব।
আচ্ছা।
চিন্তায় ছিলাম। এবার নিশ্চিন্ত হওয়া গেল। আমি ট্যারার বাবার ফোনের জন্যে অপেক্ষা করতে লাগলাম। একঘণ্টা, দু’ঘণ্টা, তিন ঘণ্টা পেরিয়ে গেল। ট্যারার বাবার ফোন এল না। কী করব এখন? আমি ফোন করব? করতে পারি। তাতে কোনও আপত্তি নেই। তবে তার আগে একটু অপেক্ষা করি। দেখি, ট্যারার বাবা ফোন করে কিনা। না, কোনও ফোন এল না। ফোন এল পরদিন।
আমি ফোন তুলে বললাম, হ্যালো…
ওদিক থেকে কথা ভেসে এল, আমি ট্যারার বাবা কথা বলছি। আপনি কে বলছেন?
আমি পাত্র বলছি।
তাহলে তুমি করে বলছি।
বলুন।
তুমি কি সত্যি আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চাও?
হ্যাঁ।
তাহলে সামনের রবিবার তোমার মা–বাবাকে নিয়ে আমাদের বাড়ি চলে এস।
কখন আসব?
সন্ধেবেলা।
তবে একটা কথা বলি।
কী কথা?
চা–বিস্কুট ছাড়া আর কিছু আমাদের খেতে দেবেন না।
সে কী হয়?
হয়। যা বলছি তা শুনুন। আর একটা কথা।
কী কথা?
আমাদের কোনও দাবিদাওয়া নেই।
৫ ||
রবিবার সন্ধেবেলা মা–বাবাকে নিয়ে ট্যারাদের বাড়ি হাজির হলাম। আমাদের যত্নসহকারে আপ্যায়ন করা হল। তারপর ট্যারা এল। তাকে একটা সুদৃশ্য চেয়ারে বসানো হল। আমি তার চোখের দিকে তাকিয়ে চমকে উঠলাম। এ কী? ওর ট্যারা চোখ কোথায় গেল? এ তো দেখছি একেবারে স্বাভাবিক চোখ। কী করে হল? আমি ওকে ওর ট্যারা চোখের জন্যে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। এখন ওকে কী করে বিয়ে করব? অসম্ভব। আমি ওকে আর বিয়ে করতে পারব না।
আমি ট্যারার বাবাকে জিজ্ঞেস করলাম, ওর চোখ দুটো ট্যারা ছিল। ঠিক হল কী করে?
সাতদিন আগে অপারেশন করে ঠিক করিয়ে নিয়েছি।
আমি তারপর আর কোনও কথা বললাম না। চুপ করে বসে রইলাম। মা–বাবা দু’চারটে কথা বলল। বলে উঠে পড়ল। আমিও উঠে পড়লাম। ট্যারাও ঘর ছেড়ে চলে গেল।
এবার ট্যারার বাবা আমার মা–বাবােক জিজ্ঞেস করল, মেয়েকে পছন্দ হয়েছে?
মা বলল, আমাদের পছন্দ–অপছন্দের কিছু নেই। ছেলের পছন্দই আমাদের পছন্দ।
ট্যারার বাবা তা শুনে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কী মত? তোমার কি পছন্দ হয়েছে?
বললাম, না।
৬ ||
এবার কী করব? ট্যারা মেয়ে আমার চাই। কিন্তু কোথায় পাব ট্যারা মেয়ে? অনেক ভেবেচিন্তে কাগজে বিজ্ঞাপন দিলাম: গায়ের রঙ, উচ্চতা, শিক্ষা বিবেচ্য নয়। পাত্রীকে অবশ্যই ট্যারা হইতে হইবে। এই নম্বরে যোগাযোগ করুন: ৯৮৩০…