কাজী জুবেরী মোস্তাক
জলজ্যান্ত আঁধারটাকে গিলে খেলো সূর্যের আলো
আর পুরোনো শহরটা নতুন মলাটে প্রস্তুত আবারো।
ইট কাঠ আর পাথরের শহরে আবার একটা ভোর
পেশাজীবী-কর্মজীবিরাও দেয় সময়ের সাথে সাথে দৌড়।
আঁধারের সিঁধ কেটে নতুন সূর্য উঠেছে পূর্বাকাশে
রাতবিনোদিনীরাও দেনা-পাওনা চুকে ঘরে ফিরছে হেসে,
যদিও বিধ্বস্ত শরীরে চোখে মুখে এক কষ্ট লেগে আছে
তার সেই দুঃখটা সে শুধু একা-একাই বয়ে চলেছে
যার দায় ভার নিজেই নিয়েছে , দেয়নি এ সমাজকে।
নিশিপ্রহরীদের হয়তো দেখইনি কোনদিন তোমরা
যে তোমাদের সুখ নিদ্রায় রাত জেগে দেয় পাহারা
কখনো কি দেখেছো সে ঘুমায়, কোথায় কখন থাকে ?
তোমারাতো ঘুম ভেঙে দেখছো এ চকচকে শহরকে
কিন্তু কখনো কি ভেবেছো ঐ ঝাড়ুদার কেমন থাকে ?
ছোট জাত বলে সবসময় নাক সিটকাও ওদের দেখে
অথচ সে-ই দিয়েছে করে তোমাদের এ শহর চকচকে।
নিকষ কালো আঁধারেই সুন্দর-অসুন্দরের চর্চা চলে
আর জলজ্যান্ত আঁধারটাকে সূর্য যখন খায় গিলে ,
তখন পুরোনো শহর নতুন মলাটে আবার জেগে উঠে
যেনো পুরোনো বোতলে নতুন মদের ছোঁয়া জাগায় ঠোঁটে।