জাতীয় সংসদ নির্বাচন : চাঁদপুর-২
মতলব প্রতিনিধি ॥ চাঁদপুর-২ আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টির ও বিএনপির চার নেতার নাম আলোচনার শীর্ষে। আওয়ামীলীগের মনোনয়ন আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান এমপি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এড. নূরুল আমিন রুহুল।
জাতীয় পার্টি থেকে জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ এমরান হোসেন মিয়া ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ড. জালাল উদ্দিন।
এছাড়াও আলোচনায় রয়েছেন, আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সাংসদ এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এম রফিকুল ইসলাম, ত্রাণ মন্ত্রীর পুত্র সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু, বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিষ্টার ওবাইদুর রহমান টিপু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী নূরুল হুদার পুত্র তানভীর হুদা, জাতীয় পার্টি থেকে জাপা নেতা মিজানুর রহমান খান ও এডভোকেট শামীমুল ইসলাম।
একাধিক সুত্র জানায়, ইতোমধ্যে এই দশ নেতা দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাপ ও দলের হাইকমান্ডে তদবির শুরু করেছেন।
গত ২০০৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে চাঁদপুর-২ আসনকে পুণ:সংস্কার করে মতলব উত্তরের সাথে মতলব দক্ষিণ উপজেলাকে এই আসনের অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে চাঁদপুর-২ আসনে আওয়ামীলীগ জয়ী হয় এবং আসনে এয়ার ভাইস এম. রফিকুল ইসলাম এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। এবং গত ২০১৪ সালের নির্বাচনে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এমপি বিনাপ্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত হন। মায়া চৌধুরী ক্ষমতা এসে মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করায় তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।
এ ছাড়াও তিনি মহানগর রাজনীতিতেও ব্যাপক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। সব মিলিয়ে আগামী নির্বাচনী আলোচনায় তিনি শীর্ষ স্থানে রয়েছেন।
এদিকে এড. নূরুল আমিন রুহুল ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগ পর্যায়ক্রমে তিনি আওয়ামীলীগে রাজনীতি করছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি পরাজিত হন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। দল মনোনয়ন দিলে অধিক ভোট পেয়ে নির্বাচিত হবেন বলে তিনি আশাবাদী। ইত্যোমধ্যে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে দিয়েছেন।
অপরদিকে ত্রাণ মন্ত্রীর পুত্র সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু দলীয় নেতাকর্মীদের প্রিয় প্রার্থী হিসেবে পরিচিত হয়েছেন। তার পিতা মায়া চৌধুরী প্রার্থী থাকায় প্রকাশ্যে তার নাম তেমন আলোচনায় আসছে না। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন আলোচনায় রয়েছেন জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ এমরান হোসেন মিয়া। গত ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলহাজ¦ এমরান হোসেন মিয়া মনোনয়নপত্র জমা দিলেও পরবর্তীতে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। তবে এবারের নির্বাচনে দল তাকে মনোনয়ন দিলে একনিষ্ঠভাবে নির্বাচন করবেন বলে তিনি আশাবাদী। তার পক্ষে এলাকায় জনমতও ভাল আছে। জাতীয় পার্টি থেকে এমরান মিয়া একজন হেভিওয়েট প্রার্থী। ইতোমধ্যে তিনি এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন।
এছাড়াও জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী জাপা নেতা মিজানুর রহমান খান ও কেন্দ্রীয় যুবসংহতির সদস্য এড. শামীমুল ইসলাম। দল মনোনয়ন দিলে তারা নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবেন।
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আলহাজ ড. জালাল উদ্দিন ইত্যোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। গত ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ড. জালাল উদ্দিন অংশ নিলেও নির্বাচিত হতে পারেন নি। এবার তিনি দলের মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করবেন এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ী হবেন বলে জানান নেতাকর্মীরা।
এছাড়াও বিএনপি নেতা ব্যারিষ্টার ওবাইদুর রহমান টিপু ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী নূরুল হুদার ছেলে তানভীর হুদা দলীয় মনোনয়ন পেলে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবেন বলে জানা গেছে।