সৈয়দ রফিকুল আলম এর কবিতা
নিত্যনব গোয়েন্দা প্রবৃত্তিঃ আমাদের বাস্তবতা
ছায়া ছায়া মনে পড়ে প্রায় চার দশক পূ্র্বে পাঠ করা প্রখ্যাত বিদেশি ম্যাগাজিনের সারবস্তু গোপন মর্মভেদী নিবন্ধ বিন্যাস, তার বস্তুনিষ্ঠতা এ রকম- তখন পরাশক্তিদ্বয় ডোগমা-অটোক্রেটিক- ডিপ্লোম্যাসি গবেষণালব্ধে নানানবিধ বিশ্ব পরিস্থিতি কূটচাল অনুধ্যায়ে মন ও মগজে স্হূলতার বশবর্তী হয়ে বিশ্বব্যাপী ধংসযজ্ঞে বকধ্যানী হয়ে মেরুদণ্ড ভাঙ্গার উপকরণে গাণিতিক সংখ্যা নির্ণয় হতো : দু পরাশক্তি একে অন্যকে স্থূল কৌশল প্রক্রিয়ায় কেমন করে জিন্দালাশ করা যায় এ শ্রেণীর উম্মাদনায় প্রচুর অর্থ ব্যয়ে জীবননাশী নেশাদ্রব্য যেমন – উত্তেজক মারিজুয়ানা, হিরোয়িন, ল্যবে প্রস্তুত মস্তিশকের ঘিলুতে বিক্রিয়া সৃষ্টি করা সে জাতীয় ট্যাবলেট তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে কিংবা নিজস্ব এজেন্টে কাছে চুরিচুপি প্রেরণ করা হতো। উদ্দেশ্য সম্ভাবনাময় মেধাবি প্রজন্ম যাতে সর্বব্যপী অকেজো হয়ে পড়ে। এখনতো এক পরাশক্তি ভেঙে চুরচুর হয়ে গেছে(ইদানীং অবশ্য দ্বিতীয় পরাশক্তি ক্রমেক্রমে উত্থান হচ্ছে)এখন একক ভাবে বিশ্বব্যপী উচুমানের গোয়েন্দা শাসনে নব শক্তিমন্থতা কায়েম করেছে- এতো সর্বকূলের মণিকর্ণিকায় ধরা দে। ‘-কিন্তু আমাদের অনুবর্তিকা প্রবাহ ভিন্নরূপ। মাদক ডিপ্লোম্যাসি করার মতো শক্তিমক্ততার উচ্চ প্রযুক্তির শক্তি অর্জনের সম্ভাবনা আপাতত নেই – কিন্তু আমাদের তরুণ সমাজ মাদকের কালো ছায়াতলে জড়িত হয়ে আছে যা ভাবলে আপাদমস্তক শিউরে উঠে।শহর নগর, অলি গলি, অজ পাড়াগাঁয়ে ছড়িয়ে পরেছে ইয়াবা সিনড্রোম, যা – আমাদের তরুণ সম্ভাবনাময় সম্পদকে বিকলাঙ্গের ধ্বজাধারী হতে হচ্ছে, ভাবান্তরে কূল পাই না এ জাতির এ হেন ঝুলন্ত বোঝার সামর্থ্যও বা কতোটুকু। প্রশ্ন এখানে অর্থবিত্তে, বিজ্ঞানে, শাসনে, সতর্কতা অবলম্বনে কদ্দুর স্থিরতা রাখি, যে দেশে দু’বেলা খাবার জোটাতে প্রাণ যায় যায় সে দেশে এই মারণব্যাধির হতা কারা? এ অজাচারিতার দন্ডমুন্ডে গডফাদার কারা? লেশমাত্র যাদের দেশপ্রেমের প্রতি নুন্যতম অনুভুতি নেই, এই ক্ষুদ্র দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে জীবন্ত সমাধিস্থে প্রয়াশ চালায়, তারা কারা???