বিডিমেট্রোনিউজ ॥ গ্রেপ্তার হয়েছেন কেয়া ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের এমডি আব্দুল খালেক পাঠান। রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে দুদক উপপরিচালক মো. সামছুল আলম তাকে গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে আব্দুল খালেক ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। ব্যাংকের ১১১ কোটি ১৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, কৃষি ব্যাংক থেকে ১১১ কোটি ১৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রোববারই তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়ের করার পরই কেয়া ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- কেয়া ইয়ার্ন মিলস্ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও এমডি খালেকের মেয়ে মিসেস খালেদা পারভীন, তার ছেলে পরিচালক মাছুম পাঠান, অপর মেয়ে তানসিন কেয়া, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রাক্তন এজিএম মো. সারোয়ার হোসেন, প্রাক্তন ডিজিএম মো. জুবায়ের মনজুর, কাওরান বাজার করপোরেট শাখার প্রাক্তন এসপিও মো. আবুল হোসেন এবং প্রাক্তন এসপিও গোলাম রসুল।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণের নামে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কাওরান বাজার শাখার মোট ১১১ কোটি ১৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে।
অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত তথ্য এবং রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা দেখা যায় যে, মেসার্স কেয়া ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কাঁচা তুলা আমদানি করে তা দিয়ে সুতা উৎপাদন করে শতভাগ রপ্তানি কারে থাকে। ২০০৯ সালের ১ এপ্রিল মেসার্স কেয়া ইয়ার্নের এমডি আব্দুল খালেক পাঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ শর্তসাপেক্ষে প্রথমে ২০ কোটি টাকা প্রকল্প ঋণ মঞ্জুর করা হয়। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বিভিন্ন সময়ে ২০১১ সালে জুলাই পর্যন্ত ১ বছরে মেয়াদি মোট ৬০০ কোটি ঋণ হিসেবে প্রদান করে। এর বিপরীতে জামানত রাখা হয়েছে ৫০ লাখ ৫৫ হাজার টাকার এফডিআর এবং পুবালী ব্যাংক লিমিটেডের লীড তত্ত্বাবধানে ক্লাভ ফাইন্যান্সিংয়ের আওতায় ২০৫ কোটি টাকা। কিন্তু কেয়া ইয়ার্ন শতভাগ সুতা রপ্তানি না করে নানা অজুহাতে ১১১ কোটি ১৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে।
সার্বিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, গ্রাহক মেসার্স কেয়া ইয়ার্ন মিলস্ লিমিটেড এবং কৃষি ব্যাংক কাওরান বাজার শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ৮টি এলসির বিপরীতে ফান্ডেড ওই টাকা আত্মসাৎ করে। এর মধ্যে ৭টি এলসির বিপরীতে ১০৫ কোটি ৬৪ লাখ ৪০ হাজার ৯১৭ টাকা এবং ২টি এলসির বিপরীতে ৫ কোটি ৫০ লাখ ২৪ হাজার ১১১ টাকা আত্মসাৎ হয়েছে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।
যে কারণে দণ্ড বিধি ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪২০/১০৯ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় উপপরিচালক মো. সামছুল আলম বাদি হয়ে মামলা করেন।