বিডি মেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ফল বেশি পুষ্টিকর না ফলের রস? এ তর্ক চলবেই। এক্সারসাইজ বা খেলার সময় চটজলদি অতিরিক্ত এনার্জি পেতে ফলের রস খাওয়া যেতেই পারে। তবে চিকিত্সক বা ডায়েটিশিয়ানরা বলেন স্বাস্থ্যগুণ বজায় রাখতে রস নয়, অবশ্যই খান গোটা ফল। পারলে খোসাসমেত। জেনে নিন রস করে খেলে কী কী পুষ্টিগুণ বাদ পড়ে যায়।
যে ফলগুলো খোসাসমেত খাওয়া যায় সেগুলোর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। খোসা ছাড়িয়ে রস করে খেলে পুষ্টিগুণ কমে যায় অনেকটাই। আপেল, আঙুর, পেয়ারা, শশা, স্ট্রবেরি জাতীয় ফলগুলো খোসাশুদ্ধুই খাওয়া যায়। ফলের খোসা সরাসরি সূর্যের আলো পায়। বিভিন্ন রঙের পিগমেন্ট বিভিন্ন ওয়েভলেংথের সূর্যরশ্মি শোষণ করে। এই সব পিগমেন্টের মধ্যে রয়েছে ক্যারোটিনয়েডস, ফ্লাভোনয়েডস যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আঙুরের খোসা ক্যানসার রুখতেও সাহায্য করে।
ফলের রস বের করার সময় বেশির ভাগ সময়ই খোসা ফেলে দেওয়া হয়। ফলে রস খেলে শরীর খোসার পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হয়। ফলের খোসা যেমন তেমনই ফলের শাঁসের মধ্যে থাকে প্রয়োজনীয় ফাইবার। কমলার শাঁসের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফ্লাভোনয়েডস। সেই সঙ্গেই রয়েছে ভিটামিন সি। এই দুটোই শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কমলার রস করার সময় ফ্লাভোনয়েডস বেরিয়ে যায়। সে কারণেই বাজারচলতি অনেক অরেঞ্জ জুসের গায়ে লেখা থাকে ‘পাল্প অ্যাডেড।’ অর্থাত্, রস বের করার পর কমলার শাঁস যোগ করা হয়েছে।
রস বের করে নিলে ফাইবার নষ্ট হয়ে যায়। যেমন আপেলের মধ্যে ৩.৭৫ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার থাকে। আট আউন্স আপেলের রস তৈরি করতে লাগে তিন থেকে চারটে আপেল। সেই হিসেবে আপেলের রসে ১২ থেকে ১৫ গ্রাম ফাইবার থাকার কথা। অথচ অ্যাপল জুসে ফাইবার প্রায় থাকে না বললেই চলে।
ফলের রস খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। ফল খেলে কিন্তু অতটা বাড়ে না। যেমন যে পরিমাণ আপেল খেলে শরীর ১২০ ক্যালরি এনার্জি পায়, সেই পরিমাণ আপেলে রয়েছে ২৪ গ্রাম চিনি। অন্যদিকে, যে পরিমাণ অ্যাপল জুস থেকে শরীর ১২০ ক্যালরি এনার্জি পায়, সে পরিমাণ জুসে চিনির পরিমাণ প্রায় ৩০ গ্রাম। বাজারচলতি অধিকাংশ ফ্রুট জুসেই ফলের রসের পরিমাণ কম থাকে। কৃত্রিম সুইটেনার যোগ করা থাকে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা