বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের সমাধিকে ঘিরে স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তার জন্মধন্য কুড়িগ্রামের মানুষ।
সৈয়দ শামসুল হকের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে কুড়িগ্রামবাসী এ দাবি জানান। তিনি ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার ইচ্ছানুযায়ী জন্মশহর কুড়িগ্রামের সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হয়। কলেজ চত্বরে কবির সমাধিকে ঘিরে স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণ করে তার সকল সাহিত্য কর্ম সংরক্ষণ করার দাবি এ জেলার মানুষের।
১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম শহরের থানা পাড়ায় এই সব্যসাচী লেখকের জন্ম । পিতা হোমিও চিকিৎসক সৈয়দ সিদ্দিক হোসেন ও মাতা নুর জাহানের পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। ধরলা নদীর পাড়ে শৈশব কাটানো এ লেখক শহরের রিভারভিউ হাইস্কুলে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখার পর পাড়ি জমান ঢাকায়। একে একে তার পদচারণা হতে থাকে গল্প, কবিতা, গান ও নাটকসহ সাহিত্যের সকল আঙ্গিনায়। গুণী এ লেখক তার সাহিত্য কর্মের মধ্য দিয়েই বেঁচে থাকবেন মানুষের মাঝে। এখন কুড়িগ্রামবাসীর অপেক্ষা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় তার স্মৃতি ধরে রাখার।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আহবায়ক শ্যামল ভৌমিক জানান, কলেজ চত্বরে কবির সমাধিকে ঘিরে স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণ করে তার সকল সাহিত্য কর্ম সংরক্ষণ করা হলে একদিকে কবির জন্মশহর আলোকিত হবে, অন্যদিকে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য কুড়িগ্রাম হয়ে উঠবে গর্বের শহর।
সংস্কৃতি কর্মী দুলাল বোস, ইমতে আহসান শিলু সব্যসাচী এ লেখককে তার জন্মশহর কুড়িগ্রামের কলেজ মাঠে সমাহিত করায় গর্ব বোধ করেন।
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ মির্জা নাসির উদ্দিন বলেন, ‘কবির সমাধিকে ঘিরে স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মিত হলে বহুমাত্রিক এ লেখকের সাহিত্যচিন্তা সমৃদ্ধ করবে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীসহ দেশের সকল সাহিত্য অনুরাগীদের।’
সম্প্রতি লেখকের সমাধিস্থল পরিদর্শন করে সমাধি ঘিরে এক একর জমির উপর সৈয়দ শামসুল হক স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মানের সরকারি সিদ্ধান্তের কথা জানান সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
সৈয়দ হকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচীর আয়োজন করেছে।