বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমের ক্রাসনোদার শহরে এক মানুষখেকো দম্পতির খোঁজ মিলেছে। ওই দম্পতি ৩০ জনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। ৩৫ বছর বয়সী দিমিত্রি বাকশিভ এবং তাঁর স্ত্রী নাতালিয়া (৪২) পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁরা ৩০ জনকে হত্যা করেছেন।
ওই দম্পতি যেখানে থাকেন, সেই সামরিক ঘাঁটিতে কাটাছেঁড়া ও অঙ্গহীন একটি লাশ পাওয়ার পরই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দম্পতির বাসস্থানে তল্লাশি করে পাওয়া বেশ কিছু খাদ্যদ্রব্য ও মাংসের ডিএনএ পরীক্ষা করা হচ্ছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ ওই দম্পতির বাড়ি তল্লাশি করছে। সেখানে মানুষের শরীরের কিছু অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাওয়া গেছে, যার বেশ কিছুটা পাত্রে সংরক্ষণ করে রাখা।
ওই দম্পতি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন মিলিটারি এভিয়েশন একাডেমিতে থাকেন। তাঁরা সেখান কর্মী হিসেবে কাজ করেন।
ঘটনা তদন্তে গঠিত সংস্থা জানিয়েছে, তল্লাশির সময় ওই বাড়ির রান্নাঘরে অজানা কিছু খাদ্যদ্রব্য ও মাংস পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত নমুনা মানুষের, নাকি অন্য কোনো প্রাণীর, তা পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
রাশিয়ার গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই বাড়ির ভেতরে ও মোবাইল ফোনে পাওয়া ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে, এসব হত্যাকাণ্ড প্রায় ২০ বছর আগের। এদের মধ্যে একটি ছবি ১৯৯৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরে তোলা। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি বড় থালায় বিভিন্ন রকমের ফলের সঙ্গে মানুষের একটি রক্তাক্ত কাটা মাথা পরিবেশন করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেপ্তার ওই দম্পতিকে এখন কারাগারে রাখা হয়েছে। তাঁরা কারাগারে থাকা অবস্থায় অন্যান্য পরীক্ষা চলবে। তথ্যসূত্র: বিবিসি