বিডি মেট্রোনিউজ ॥ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধে যুক্ত ১৯৫ পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। বুধবার বেলা ১১টায় রাজধানীর ধানমণ্ডির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান। তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় গাইবান্ধা ও হবিগঞ্জের আট রাজকারের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে তদন্ত সংস্থা। এদের বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে।
আব্দুল হান্নান খান জানান, ১৯৫ পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর বিচার বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবে এই তদন্ত কমিটি। সরকারের নির্দেশনা পেলে ও ক্ষেত্র প্রস্তুত হলে দেশীয় যুদ্ধাপরাধীদের পাশাপাশি পাকিস্তানের ১৯৫ যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্তও শুরু হবে।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতা পরবর্তী তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বাছাইকৃত ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনাকর্মকর্তার বিচারের জন্য সংসদে স্বতন্ত্র একটি আইন তৈরি করেছিল ১৯৭৩ সালে। কিন্তু ১৯৭৪ সালে সবাইকে ক্ষমা করে দিয়ে ৯২ হাজার পাকিস্তানি সেনাকে ভারত থেকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পাকিস্তান তখন এদের বিচার করার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তবে পাকিস্তানিদের সহায়তাকারী এবং খুন, ধর্ষণ, লুটতরাজ, ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়াসহ কয়েকটি অপরাধে দেশীয় যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার চলছিল। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান সরকার তা বন্ধ করে দেয়।