বিডি মেট্রোনিউজ॥ মস্তিস্কের রক্তক্ষরণে মারা গেছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ। পুরান ঢাকার বকশীবাজার এলাকার বাড়িতে শনিবার দুপুরে হঠাৎ পড়ে গেলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণ পরই তার মৃত্যু ঘটে।
আজিজ মৃত্যুর আগে ঐতিহ্যবাহী বাকরখানি খেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা খাওয়ার আগেই না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। এম এ আজিজের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুস ছালাম হাসপাতালে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এই রাজনীতিকের শেষ সময়ের কথা জানান।
“পড়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে তিনি আমার কাছে বাকরখানি ও চা চেয়েছিলেন। আমি নিয়ে আসতে আসতে তিনি হেলে পড়ে যান । বাকরখানী আর চা খেতে পারলেন না তিনি।” পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আজিজকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা বাঁচাতে পারেননি তাকে।
আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান এই নেতার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক জানিয়েছেন। বিকালে তার বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের সান্ত্বনা দেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
আজিজের মৃত্যুর খবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, ঢাকার সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. সেলিমসহ নেতা-কর্মীরা হাসপাতালে জড়ো হন।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চিকিৎসকরা বলেছেন, উনার (আজিজ) স্ট্রোক হয়েছিল।”
আজিজ (৭৫) স্ত্রী ও তিন ছেলে রেখে গেছেন। তার বড় ছেলে উমর বিন আব্দুল আজিজ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শাখা ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে গত আট বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন আজিজ। ২০০৩ সালে সম্মেলনে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ঢাকা মহানগরের সভাপতি নির্বাচিত হলে ওই কমিটিতে সহসভাপতি হন আজিজ।
একুশে অগাস্টের গ্রেনেড হামলায় আহত হানিফ ২০০৭ সালে মারা যাওয়ার পর আজিজকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারপর থেকে তিনি এই দায়িত্বেই ছিলেন। ২০১২ সালে কাউন্সিল হলেও নতুন কমিটি গঠিত না হওয়ায় আজিজ আগের মতোই ভারপ্রাপ্ত সভাপতির হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।