মেট্রো নিউজ :বাংলাদেশসহ ভারত, নেপাল এবং ভুটানের প্রায় ১ কোটি ত্রিশ লাখ বৌদ্ধ পর্যটককে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রায় ৫শ’র মত প্রাচীন বৌদ্ধ পর্যটন কেন্দ্রের প্রত্নসম্পদ ও প্রত্নতাত্বিক স্থাপনার একটি ‘রোডম্যাপ’ তুলে ধরা হবে।
ট্যুর অ্যাসোশিয়েসন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) এর পরিচালক মাসুদ হোসেন বলেন, যদিও ঘুরে বেড়ানোর মত বৌদ্ধের ঐতিহাসিক পর্যটন কেন্দ্রগুলোর একটি ক্ষুদ্র অংশ বাংলাদেশের পাহাড়পুর, মহাস্থানগড় এবং ময়নামতিতে রয়েছে।
ভারতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ২০১৪ সালে প্রায় ২ লাখ ২৫ হাজার বিদেশি পর্যটক গয়া ভ্রমণ করেছেন। একই সময়ে বৌদ্ধগায়ায় ২ লাখ, নালান্দায় ১ লাখ ২৫ হাজার এবং বৌদ্ধের জন্মস্থান লুমবিনিতে ১ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেছেন।
মাসুদ হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের শুধুমাত্র বৌদ্ধের ঐতিহ্যবাহী তিনটি স্থানে, পাহাড়পুর, মহাস্থানগড় এবং ময়নামতিতেই ভ্রমণ করেছেন ৩ হাজার ২১৪ জন পর্যটক।
বিপুল পরিমাণ বৌদ্ধ পর্যটকদের কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকার বিশ্বের ১৭টি বৌদ্ধ ধর্মীয় দেশ নিয়ে আগামী ২৭ ও ২৮ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান খান কবির বলেন, ‘বৌদ্ধের ঐতিহ্যাবাহী স্থানগুলো আমাদের বিদ্যমান পর্যটন কেন্দ্র, আমাদের প্রয়োজন একটি কর্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে এর বিশ্বমানের অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বৌদ্ধ পর্যটকদের আকৃষ্ট করা।’
তিনি বলেন, বিশ্বের প্রখ্যাত বৌদ্ধ পর্যটন বিশেষজ্ঞদের আয়োজিত সম্মেলনটিতে বাংলাদেশ সরকারকে কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে জাতিসংঘের অধীনস্থ ওয়াল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন (ইউএনডব্লিউটিও)।
বাংলাদেশ বেসকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহযোগীতায় সম্মেলনটিতে ইউএনডব্লিউটিও’র মহাসচিব তারেব রিফাই ছাড়াও এতে চিন, জাপান, কোরিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, মায়ানমার, ভুটান, নেপাল এবং শ্রীলংকার শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
পর্যটন বোর্ডের প্রধান বলেন, রোডম্যাপটি চূড়ান্ত করার পর সরকার বৌদ্ধের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রগুলোতে বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও পর্যটন সুযোগসুবিধা সম্পন্ন করা হবে।
মাসুদ হোসেন জানান, বৌদ্ধের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলোতে যদি প্রতিবছর দেড় লাখ বিদেশি পর্যটক ভ্রমণে আসে, তাহলে বছরে ৬শ’ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। তিনি জানান, বিশ্বে প্রায় সাড়ে চার থেকে চার কোটি আশি লক্ষ বৌদ্ধ ধর্মাম্বলম্বি বৌদ্ধের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী স্থানে ভ্রমণ করে থাকে।