যদি দোল খাওয়া যেতো ভালোবাসার ছন্দ-মাত্রার অনুপ্রাসে
‘ভালোবাসি’ বললেই, তাহলে কি লাইলী-মজনুর নাম
সোনার অক্ষরে থাকতো লেখা ইতিহাসে?
সন্দেহও জাগে, ভালোবাসা নামের কোনো শব্দ খুঁজে
হয়তোবা পেতাম না অভিধানে, থাকলেও যেতো তা মুছে।
সেই সুদূর অতীতে এক সহপাঠিনী মুখে নিয়ে গোলাপী হাসি
আশার বেলুন উড়িয়ে বলেছিলো ‘তোমাকেই ভালোবাসি,
এসো, কাছে এসো বেঁধে দিই সোনালি রাখী।’
কোনো উত্তর না দিয়েই সোজা ঘরে ফিরে আসি;
ভালোবাসার অর্থটা অভিধানে বার বার খুঁজতে থাকি,
পেলাম কই? নিজের কাছে নিজেই যেন হারালাম লাজ-সম্ভ্রম;
তবে হলেও হতে পারে আবেগের রঙিনধূমের জন্যে দৃষ্টিভ্রম।
ভালোবাসার ফুলদানি গড়ে ওঠে হাজার বছর ধরে
পলি জমে জমে গড়ে ওঠা চরের মতো করে,
যার প্রতিটি স্তর ছাড়পত্র পেতে থাকে
সময়ের পাথুরিকলমের অক্ষয়ী স্বাক্ষরে স্বাক্ষরে।
ভালোবাসি বললেই যদি ভালোবাসার মেলা জমে ওঠে রমরমা
তাহলে তা সবশেষে হয়ে যায় নিছক মঞ্চের অভিনয় প্রিয়তমা।