বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ হাজারো ফুটবলপ্রেমী পা রেখেছেন রাশিয়ায়। আয়েশ করে খেলা উপভোগ করতে চান তারা। কিন্তু উন্মাদনায় যেনো কোনও রাশিয়ান নারী ফুটবল প্রেমীদের শয্যাসঙ্গী না হয় সেদিকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির নারী সংসদ সদস্য তামারা প্লেতনেভা।
প্রথমবারের মতো রাশিয়ায় এত বড় আয়োজনে আনন্দের সঙ্গে হুমকিও দেখছেন ৭০ বছরের কমিউনিস্ট এমপি। রাশিয়ান নারীদের অনাকাঙ্ক্ষিত যৌন সম্পর্ক জড়িয়ে পড়া নিয়ে আয়োজকদেরও অনেক ভাবাতে পারে বেশি।
কারণ এমন অভিজ্ঞতা মুখোমুখি আগেও হয়েছে রাশিয়া। ১৯৮০ সালে মস্কো অলিম্পিকের সময় স্থানীয় অনেক নারী ভিনদেশি ক্রীড়াপ্রেমীদের প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। আর সেই সময় মস্কোতেও অস্বাভাবিক হারে পতিতাবৃত্তিও বেড়ে যায়। বেড়েছিল ‘সিঙ্গেল মা’ হওয়ার হারও।
সেই অাশঙ্কা থেকেই রাশিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যমে গভোরিত মস্কোভা রেডিওকে দেয়া সাক্ষাতকারে তামারা বলেন, ‘ তরুণীদের অনেকে আছেন, যারা ভিনদেশী ফুটবলপ্রেমীদের সাথে ডেট করবে এবং সন্তানের জন্ম দেবেন। তবে আমি আশা করি এমনটা হবে না।’
এমনকি তরুণ রাশিয়ান নারীদের আকর্ষণে অনেক ভিনদেশীর মন গলে গেলেও তারা যেনো যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকে- এই পরামর্শও দেন প্লেতনোভা।
তারপরও আশঙ্কা থেকে যায়। রুশদের জন্য সবচেয়ে শঙ্কার বিষয়, সেদেশের নারীদের সাথে যৌন সম্পর্কের পর অনেক সময় ‘সিঙ্গেল মাতৃত্বের হার অনেক বেশি বেড়ে যায়। এই ধরণের ঘটনা একটা দেশের জনসংখ্যার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে আশঙ্কা ওই এমপির। ওই শিশুদের জন্মের পর তাদের দায়িত্ব নেয়াটা রাশিয়া রাষ্ট্রের জন্য হুমকি বলে তিনি মনে করেন।
রাশিয়া জন্মহার এমনিতেই কম। তাই অনাকাঙ্খিত এমন জন্মহার রাশিয়ার জন্য ভালো কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে পুতিন সরকারের এই এমপি বলেন, ‘আমাদেরকে নিজেদের সন্তান জন্ম দিতে হবে। মিশ্র শিশুদের বেড়ে উঠতে হয় মা অথবা বাবা যেকোনো একজনের কাছে। ফলে তাদেরকে অনেক ভুগতে হয়। সোভিয়েত আমল থেকে এমন ভোগান্তি অনেকেই পোহাচ্ছেন। মা-বাবা একদেশীয় হলে সেই শিশুরা ভাগ্যবান। না হলে তাদের অবস্থা খারাপ থেকেও খারাপতর হয়। তবে আমি কিন্তু জাতীয়তাবাদী নই।’
নিজের কথার পক্ষে যুক্তি দিয়ে প্লেতনোভা বলেন, সিঙ্গেল মায়ের’ সন্তানদের তাদের বাবারা হয় মায়ের কাছে ফেলে যায়। আবার অনেক সময় অন্যদেশে নিয়েও যায়। এক্ষেত্রে মায়ের মতো তাদের ফেলে যাওয়া সম্ভাবনাই বেশি। তাই রুশ নারীদের রাশিয়ান নাগরিকদেরই বিয়ে করা উচিত।
বিশ্বজুড়ে যৌন হয়রানির বিপক্ষে হ্যাশট্যাগে- ‘মি টু’’র আয়োজনকে বিরোধীতা করে তিনি বলেন, আমেরিকা এবং ইউরোপের কোনও বিষয় আমরা অনুসরণ করি না। আমরা মনে করি কোনও নারীর নিজে না চাইলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে না।