মেট্রো নিউজ : অবশেষে জামায়াতে ইসলামীকে সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। অন্যথায় বর্তমান বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে বিএনপি। সম্প্রতি দলের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতার মাধ্যমে জামায়াতের কাছে এমন বার্তা পাঠিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। আগামী নভেম্বরে খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে ফিরলে জামায়াতকে সংস্কার তথা সংশোধনের পরামর্শ দেওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হতে পারে।
একদিকে দলের শীর্ষ নেতারা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত, অন্যদিকে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জামায়াতের গোপন সম্পর্ক ও কট্টর মৌলবাদী রাজনীতির অভিযোগে চতুর্মুখী চাপে অত্যন্ত গোপনে দলটিকে এই বার্তা দিয়েছেন বিএনপিপ্রধান। দলের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
খালেদা জিয়ার বার্তা বহনকারী নেতাকে জামায়াতের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, দেশের ভেতর ও বাইরে কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই। এ ধরনের কোনো প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। তা ছাড়া তারা কোনো কট্টর মৌলবাদী রাজনীতিও করেন না। বাংলাদেশের সংবিধানে দেওয়া মৌলিক অধিকার অনুযায়ী সব নিয়ম-কানুন মেনেই রাজনীতি করেন। বিএনপিকে দুর্বল করতেই জামায়াতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে দূরে সরানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মনে করেন তারা।
বিএনপি নেতারা বলেন, বিদেশিরা তাদের জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগের পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, অন্যথায় বিএনপির শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে অবস্থান অটুট রাখা তাদের জন্য কঠিন হতে পারে।
সূত্র জানায়, ২০১২ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিরোধীদলীয় নেতা থাকা অবস্থায় ভারত সফরকালেও জামায়াতের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিল দেশটি। তখন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রধান শিবশঙ্কর মেনন বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে বৈঠককালে জামায়াতের ব্যাপারে কিছু গুরুতর অভিযোগ আনেন। তার দাবি, ভারতের শত্রু হিসেবে পাকিস্তানের যেসব জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় রয়েছে, তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর গোপন সম্পর্ক রয়েছে। জোটের প্রধান দল হিসেবে বিএনপিকে শরিক দল জামায়াতে ইসলামীর এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত করার আহ্বান জানানো হয়।