বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ফিরহাদ হাকিম। হবু মেয়রকে অভিনন্দন জানাতে ফুল ও মিষ্টি দিচ্ছেন অনেকে। মিষ্টি ও ফুলেল শুভেচ্ছায় ভরে গেছে তার বাড়ির চারপাশ। আগামী ৩ ডিসেম্বর শপথ নেবেন তিনি। নাম ঘোষণার পর থেকেই অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছেন কলকাতার জনপ্রিয় এ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, ‘শোভন চট্টোপাধ্যায় কলকাতার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগের পর রাজ্যের আবাসনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে পরবর্তী মেয়র হিসেবে বেছে নিয়েছেন দেশটির তৃণমূল কাউন্সিলররা।’
গত সপ্তাহে দলীয় অসন্তোষের জেরে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এর পরে মেয়র পদও ছেড়ে দেন তিনি। তার জায়গায় মেয়র পদে ফিরহাদ হাকিমকে মনোনীত করেছে মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেস।
১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার আগে পাঁচজন মেয়র ছিলেন মুসলিম, যাদের মধ্যে ছিলেন শের-এ-বাংলা এ কে ফজলুল হক। কিন্তু তারপর থেকে কখনও কোনও মুসলিম ধর্মাবলম্বী নেতা কলকাতার মেয়র পদে বসেননি।
ফিরহাদ হাকিম দক্ষিণ কলকাতার চেতলা অঞ্চলের মানুষ। ববি হাকিম নামে বেশি পরিচিত এই নেতা আগে থেকেই রাজ্যের নগরোন্নয়ন এবং পৌর দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন। কংগ্রেস রাজনীতি করতে করতেই মমতা ব্যানার্জীর ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠা এবং গত শতাব্দীর নয়ের দশকের শেষ দিকে কলকাতা কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসাবে প্রথম ভোটে জেতা।
যতদিন গেছে, ততই মমতা ব্যানার্জীর ঘনিষ্ঠদের বৃত্তে ঢুকে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছাকাছি পাড়ার বাসিন্দা ফিরহাদ হাকিম। কর্পোরেশনের গণ্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছিয়ে গেছেন বিধানসভায়। ভোটে জিতে বিধায়ক হওয়ার পরে হয়েছেন মন্ত্রী।আর রাজনীতির ক্ষেত্রে হয়ে উঠেছেন মমতা ব্যানার্জীর ‘ম্যান ফ্রাইডে’দের অন্যতম।
পাকিস্তানের ‘ডন’ পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, তার দাদু বিহারের গয়া জেলা থেকে কলকাতায় এসে ব্যবসা শুরু করেন।বাবা ছিলেন কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের আইন আধিকারিক। আর মা ছিলেন কলকাতার একটি স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা।
ফিরহাদ হাকিমের মায়ের আদি বাড়ি ছিল ফরিদপুরে। তার মা হিন্দু মুখার্জী পরিবারের সন্তান ছিলেন বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিমের বাল্য বন্ধু ঋষিকেশ মুখার্জি।ববি ধর্মে মুসলমান ঠিকই, নিয়মিত নামাজও পড়ে, গত বছর হজ করে এসেছে, কিন্তু ওর মধ্যে হিন্দু-মুসলিম প্রসঙ্গটা একেবারেই নেই। ওর মা ছিলেন পূর্ব বঙ্গীয় হিন্দু পরিবারের মানুষ, বোনের বিয়ে দিয়েছে হিন্দু পরিবারে।