বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বিএনপির মনোনয়নে ধানের শীষের প্রার্থী হওয়া জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন নাকচ করেছে নির্বাচন কমিশন। রোববার কমিশন সভার পর ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ বলেন, “জামায়াতের প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিলের আইনগত কোনো সুযোগ নেই।”
এছাড়া আদালতের রায়ে যেসব আসনে বিএনপির প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে, সেগুলোতে নির্বাচন স্থগিত বা বিকল্প প্রার্থী মনোনয়নের সুযোগ নেই বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে ধানের শীষের প্রার্থী জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) নেতা ফজলে রাব্বীর মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৩ আসনে পুনঃতফসিল দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেখানে মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ২ জানুয়ারি এবং ২৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে বলে ইসি সচিব জানিয়েছেন।
হাই কোর্টের রায়ে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর ২১ জন নেতা এবার তাদের জোটসঙ্গী বিএনপির মনোনয়নে ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন। স্বতন্ত্র হিসেবেও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন কয়েকজন।
এই প্রেক্ষাপটে জামায়াতের ২৫ জন নেতার প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে একটি আবেদন করেন চার ব্যক্তি।
পরে ওই আবেদনকারীরা এই দাবিতে হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। তাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত তিন কার্য দিবসের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয়।
এরমধ্যে শুক্রবার এইচটি ইমামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে জামায়াত নেতাদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানান।
যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, “তারা মনোনয়ন ফরমে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন। দলের জায়গায় তারা তো লিখেছে বিএনপি, কিন্তু তারাতো বিএনপির নয়-যেটা বিভিন্ন পত্রিকায় এসেছে। মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন। তাদের মনোনয়ন বাতিলযোগ্য। আমরা কমিশনকে জামায়াতের মনোনয়ন বাতিলের অনুরোধ করেছি।”