শিউল মনজুর ॥ মুখরিত শহর বন্দর নগরী চট্টগ্রামের হৃদপিন্ডের নৈকট্যে পাহাড় ঘেরা শান্ত জলের দীঘি অপরূপ সৌন্দর্যের ফয়েজ লেক, দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।
চট্টগ্রাম শহরের মাঝখানেই সবুজে ঘেরা ৩৩৬ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত নগরীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র ফয়’স লেক। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আঁকাবাঁকা এই লেকের আশপাশে নানান রাইডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।এর মধ্যে সার্কাস সুইং, বাম্পার কার, বাম্পার বোট, ফ্যামিলি রোলার কোস্টার, জায়ান্ট ফেরিস হুইল, ড্রাই স্লাইড, ফ্যামিলি ট্রেইন, প্যাডেল বোট, পাইরেট শিপের মতো বিশ্বের আধুনিক অ্যামিউজমেন্ট পার্কের সব রাইড।
অ্যামিউজমেন্ট ওয়ার্ল্ডের উত্তরে একটু উপরে উঠলেই মূল ফয়’স লেক। দুপাশে সবুজে ঘেরা উঁচু পাহাড়। লেকে ভ্রমণেরও নানান আয়োজন আছে। নানান আকারের ইঞ্জিন চালিত ফাইবার-বোট, স্পিড-বোটসহ আছে এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী নৌকা ও সাম্পান। আধা ঘণ্টা থেকে শুরু করে বিভিন্ন মেয়াদে লেকে ভ্রমণ করা যায়।
বিনোদনের বেশ কিছু উপকরণ নিয়ে সাজানো, যে কোন বয়সী মানুষের নিকট ফয়েজ লেক একটি প্রিয় স্থান। বোটে চড়ে ঘুরে বেড়ানো যেমন যায় তেমনি পায়ে হেঁটেও ভ্রমণ করা যায়।
লেকের এক পাশে পাহাড় ছুয়েঁ গড়ে তোলা হয়েছে দূর থেকে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের জন্যে ফয়েজ লেক রিসোর্ট। রিসোর্টে রয়েছে সিঙ্গেল বেড, ফ্যামেলী বেড, কাপল বেড। সাথে রয়েছে মান সম্মত খাবারের সু-ব্যবস্থা। মূল্য একটু বেশি হলেও ফয়েজ লেকের সৌন্দর্য্য উপভোগের তুলনায় তা খুব বেশি নয়।
ফয়েজ লেকের মধ্যে রয়েছে সাঁজানো গোছানো সবুজ বৃক্ষরাজি। পাখির মুখরিত কলতানে প্রকৃতি জেগে ওঠে এখানে প্রতিদিন। মাঝে মাঝে গাছে গাছে বানরও দেখা যায়, যা দর্শনার্থীদের মন কেড়ে নেয়।
তা ছাড়া ফয়েজ লেক রির্সোটের পাশে বেশ জায়গা নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে Sea Water World ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসের মধ্যে রয়েছে ইত্যাদি। বিনোদনের এসব উপকরণ দেশি বিদেশি ভ্রমণ পিপাসুদের মন আকর্ষণ করে।
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন এর অধীনে কনকর্ড গ্রুপের তত্ত্বাবধানে ফয়েজ লেক ও রিসোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। বেড়াতে এসে যে কোন দর্শানার্থীদের মন কেড়ে নেয়া সবুজ প্রকৃতি ঘেরা ফয়েজ লেক জল ক্রীড়ার Sea Water World ক্যাম্পাস এবং নিরিবিলি নান্দনিক রিসোর্ট প্রিয় চট্টগ্রামকে গর্বিত করেছে।
চট্টগ্রাম বেড়াতে আসলে ফয়েজ লেক অবশ্যই দর্শন করে যাওয়া উচিত।