ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৪
নিজস্ব প্রতিবেদক : চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৪। এ উপলক্ষ্যে দেশজুড়ে জমে উঠেছে বিক্রয় উৎসব। চলছে ব্যাপক প্রচার, র্যালি, আনন্দ মিছিল এবং শোডাউন। কোথাও বানানো হচ্ছে এক কিলোমিটার দীর্ঘ ব্যানার। কোথাও বা আবার ক্যাম্পেইনের র্যালি ছাড়িয়ে যাচ্ছে শত কিলোমিটার এলাকা। ওয়ালটন পণ্য কিনে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে রেজিস্ট্রেশন করে ক্রেতারাও নিজেদের ভাগ্য পরীক্ষা করে নিচ্ছেন। মিলছে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারসহ হাজার হাজার ফ্রি পণ্য।
অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে ‘কাস্টমার ডাটাবেজ’ তৈরির প্রক্রিয়ায় গতি সঞ্চারের লক্ষ্যে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। ক্যাম্পেইনের সিজন ফোর বা চতুর্থ পর্ব শুরু হয়েছে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এসি, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ওয়াশিং মেশিন, জেনারেটর ও মাইক্রোওয়েব ওভেন কিনে রেজিস্টেশন করলেই ক্রেতারা পাচ্ছেন সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার। আছে মোটরসাইকেল, এয়ার কন্ডিশনার, ল্যাপটপ, ফ্রিজ, এলইডি টিভি, ওভেনসহ অসংখ্য পণ্য ফ্রি পাওয়ার সুযোগ। এসব না মিললেও রয়েছে নিশ্চিত ক্যাশব্যাক। এ সুবিধা থাকছে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত।
ডিজিটাল ক্যাম্পেইন ঘিরে ওয়ালটন শোরুমকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ। এ উপলক্ষ্যে নেয়া হয়েছে ব্যাপক পদক্ষেপ। প্রতিদিনই অনুষ্ঠিত হচ্ছে র্যালি, আনন্দ মিছিল এবং শোডাউন। যাতে অংশ নিচ্ছেন নারী-পুরষ-শিশুসহ সব বয়সের মানুষ।
ওয়ালটনের ক্রিয়েটিভ এ্যান্ড পাবলিকেশন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম বলেন, ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে ক্রেতা আকর্ষণ ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে দুই ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। প্রথমত, দেশব্যাপী ক্যাম্পেইনের পক্ষে জোর প্রচার চলছে। এজন্য সব ওয়ালটন প্লাজা ও পরিবেশক শোরুম সাজানো হয়েছে রঙিন ব্যানার ও ফেস্টুনে। জেলা ও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে তৈরি করা হয়েছে তোরণ। চলছে মাইকিং। সুসজ্জ্বিত হাতি, ঘোড়া, ঘোড়ার গাড়ি, লঞ্চ, ট্রাক, পিক-আপ, অটোরিক্সা, ভ্যান, মোটরসাইকেল যোগে চলছে র্যালি এবং রোড শো।
দ্বিতীয় পদক্ষেপ হিসেবে ওয়ালটন পণ্য রেজিস্ট্রেশন করলে ক্রেতাদের দেয়া হচ্ছে কোটি কোটি টাকার ক্যাশ ভাউচার। এর আওতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এরইমধ্যে অনেকেই এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন। এছাড়া প্রতিদিনই হাজার হাজার ক্রেতা অসংখ্য পণ্য ফ্রি পাচ্ছেন। এসব না মিললেও সবার জন্য থাকছে সর্বনিম্ন ২০০ টাকার ক্যাশ ভাউচার।
ওয়ালটনের সেলস বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এমদাদুল হক সরকার জানান, গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এই ক্যাম্পেইন। ক্রেতারা ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে পণ্য কিনে তা রেজিস্ট্রেশন করছেন। ফলে, কাস্টমার ডাটাবেজ তৈরির প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে চলছে। বিক্রয়োত্তর সেবা দেয়া হচ্ছে আরো দ্রুত।
ওয়ালটনের বিভিন্ন জোনের এরিয়া ম্যানেজারগণ জানান, ৪ মার্চ পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কিস্তি ও নগদ টাকায় ওয়ালটন পণ্য কিনে রেজিস্ট্রেশন করে এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন ১২ জন। যা দিয়ে পূরণ হয়েছে তাদের দীর্ঘদিনের লালিত অনেক স্বপ্ন। কেউ নিজেদের ব্যবহারের জন্য পণ্য কিনছেন, কেউ বা আত্মীয়-স্বজন ও প্রিয়জনদের দিচ্ছেন নানা উপহার।
তাদের মতে, ডিজিটাল ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশক শোরুমগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ। হবিগঞ্জে ওয়ালটন পণ্যের পরিবেশক টি. আর ইলেকট্রো মার্ট তৈরি করেছে ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ব্যানার। যা নিয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রায় ১ হাজার মানুষ পুরো হবিগঞ্জ শহর প্রদক্ষিণ করেছেন। এছাড়াও, হাতি, ঘোড়া এবং মোটরসাইকেলে করে অনেকেই শোভাযাত্রায় অংশ নেন। পিক-আপ এবং ভ্যানে করে বিভিন্ন ওয়ালটন পণ্য নিয়ে চলে শোডাউন। বাঙালির ঐতিহ্যবাহী ধান-চাল ঝাড়ার কুলায় ওয়ালটন লেখা নিয়ে হলুদ রঙের শাড়িতে শতাধিক নারী এ শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
এদিকে মৌলভীবাজার সাইকিং সোসাইটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয় ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের বাইসাইকেল র্যালী। রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের ওয়ালটন পণ্যের এক্সকুসিভ ডিলার স্বর্ণা ইলেকট্রনিক্স-এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা।
ওয়ালটনের নওগাঁ জোনের আয়োজনে ছিলো ১০০ কিলোমিটার ব্যাপী র্যালি। যা শান্তাহার ওয়ালটন প্লাজা থেকে শুরু করে নওগাঁ সদর, মহাদেবপুর, নজিপুর, মাতাজি, বদলগাছি হয়ে নওগাঁ সদরে এসে শেষ হয়। এতে ব্যান্ড পার্টিসহ বেশ কয়েকটি পিক-আপ, ৫০টি অটোরিকশা এবং ৩০টি মোটরসাইকেল যোগে ওয়ালটনের লোগো-সম্বলিত টি-শার্ট গায়ে দিয়ে দুই শতাধিক ব্যক্তি অংশ নেন।
কর্তৃপক্ষ জানায়, গত বছর সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের তিনটি সিজন চলেছিলো। সেসময় অনেক ক্রেতা পেয়েছেন নতুন গাড়ি, আমেরিকা অথবা রাশিয়ার ফ্রি বিমান টিকিট, লাখ টাকার খ্যাশ ভাউচার, মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, টিভি, এলইডি ও স্মার্ট টিভিসহ অসংখ্য পণ্য ফ্রি।