বিশ্বের সেরা ৫ মডেলের স্মার্ট ফ্রিজ উৎপাদনের ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক: শুরু হলো তিন দিনের ‘ওয়ালটন সম্মেলন-২০১৯’। ইলেকট্রনিক্স এবং প্রযুক্তিপণ্য ব্যবসায়ীদের এই সম্মেলন চলবে ১২ থেকে ১৪ মার্চ। সম্মেলনের প্রথম দিনে বিশ্বের সেরা ৫ মডেলের ফ্রিজ উৎপাদনের ঘোষণা দিলো ওয়ালটন। শৈল্পিক সৌন্দর্য, মান, আভিজাত্য, ধারণ ক্ষমতা, সাশ্রয়ী দাম এবং সর্বাধুনিক ফিচারসহ সবদিক দিয়ে যা হবে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্মার্ট ফ্রিজ।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ইভা রিজওয়ানা, এমদাদুল হক সরকার, আলমগীর আলম সরকার, ইউসুফ আলী, মোহাম্মদ রায়হান, এসএম জাহিদ হাসান, হুমায়ূন কবির, গোলাম মুর্শেদ, আমিন খান, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিট (আইবিইউ) প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম এবং চিফ টেকনিক্যাল অফিসার মি. ইয়ান।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, বিশ্বের ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনকারীদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। দেশের মানুষের সমর্থন নিয়ে আগামি ১০ বছরে বিশ্বের শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। লক্ষ্য অর্জনে নতুন ৫ মডেলের ফ্রিজ আমরা উৎপাদন করছি।
তিনি জানান, ফ্রিজের আন্তর্জাতিক বাজার ৮০ বিলিয়ন ডলারের। বিশাল এই বাজার দখলের সম্ভাবনা এবং সক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশের ওয়ালটনের। স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারকে টার্গেট করেই নতুন এই ৫ মডেলের ফ্রিজ উৎপাদন করা হচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ডিজাইন ও মানের গ্রাহক-বান্ধব এই ফ্রিজগুলোর ধারণক্ষমতা হবে ৫০০ থেকে ৭০০ লিটার।
তিনি আরো বলেন, দেশের বাজারে এ বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে ২০ লাখ ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট নেয়া হয়েছে। যাকে বলা হচ্ছে ‘১৯-শে ২০’। বছরের প্রথম দুই মাসে (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) এই লক্ষ্য অতিক্রম করে টার্গেটের প্রায় দ্বিগুণ ফ্রিজ বিক্রি করেছে ওয়ালটন। এর অর্থ দেশের মানুষের প্রথম পছন্দ ওয়ালটনের তৈরি বিশ্বমানের ফ্রিজ। প্রবৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত রেখে বছর শেষ হওয়া আগেই লক্ষ্য ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য তিনি ব্যবসায়ীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
‘টুগেদার উই ক্যান চেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড’ এই স্লোগানে চলছে দেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্য ব্যবসায়ীদের বৃহৎ এই সম্মেলন। ইলেকট্রনিক্স ব্যবসার বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রত্যয় নিয়ে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারে ৩ দিনের ওই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন সারা দেশের ৬ সহস্রাধিক ব্যবসায়ী।
ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক আমিন খানের সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে অংশ নেন প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় দুই হাজার ডিস্ট্রিবিউটর এবং এরিয়া ম্যানেজার। তাদের আগমনে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড প্রাঙ্গণ উৎসবে রূপ নেয়। সম্মেলন উপলক্ষ্যে তৈরি করা হয় সুবিশাল সম্মেলন কক্ষ। নির্মাণ করা হয় সুদৃশ্য মঞ্চ। বর্ণিল ব্যানার-ফেস্টুনে সাজানো হয় কারখানা প্রাঙ্গন।
সম্মেলনে যোগ দেয়া ব্যবসায়ীরা সরেজমিনে বিভিন্ন উৎপাদন ইউনিট পরিদর্শন করেন। তারা বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তি ও মেশিনারিজ সমৃদ্ধ ওয়ালটনের অত্যাধুনিক কারখানায় বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখে বিস্মিত হন। ওয়ালটনের সঙ্গে ব্যবসা করতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সম্মেলন প্রসঙ্গে ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিপণ্যের ব্যবসা বেশ চ্যালেঞ্জিং। এ খাতে খুব দ্রুত পরিবর্তন আসছে। এই পরিবর্তনে সারা বিশ্বের নেতৃত্ব দিতে নিজেদের প্রস্তুত করছে ওয়ালটন। এই সম্মেলনের মাধ্যমে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার পাশাপাশি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা বা রোড ম্যাপ তৈরি করবে বাংলাদেশের ওয়ালটন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন ১৩ মার্চ বুধবার যোগ দেবেন সারা দেশের ওয়ালটন প্লাজা ম্যানেজার এবং ডিলারসহ প্রায় তিন হাজার ব্যবসায়ী। আর তৃতীয় ও শেষ দিনে বৃহস্পতিবার অংশ নেবেন ওয়ালটন গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মার্সেলের ডিস্ট্রিবিউটর এবং ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাসহ প্রায় এক হাজার ব্যবসায়ী।
সম্মেলনের প্রথম দিনে বিভিন্ন অঞ্চলের ওয়ালটনের সেরা ডিস্ট্রিবিউটরদের পুরস্কৃত করা হয়। সবশেষে ছিলো মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
#
উপরের ছবি : বেলুন উড়িয়ে তিন দিনব্যাপী ‘ওয়ালটন সম্মেলন-২০১৯’ উদ্বোধন করছেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম।