আমার বর্ণমালা কাঁদে বাহান্নো থেকে আজ অব্দি
শহীদের রক্তের ঋণে মুখে গুজে লাল পেড়ে সাদা আঁচল ডুকরে ডুকরে।
ভোরের জালি ঘাসের ডগায় শিশিরের মাঝে বর্ণমালার অশ্রু বীণা যায় বেজে
আমার ভাষার বর্ণমালা কাঁদে।
শহীদ মিনারের ফুলের স্তুপ ভেদ করা শহীদের রক্তের গন্ধে
আমার বর্ণমালার রিক্ত সিক্ত চোখ আজ কৃষ্ণচুড়ার লাল।
আমার বর্ণমালা কাঁদে…
তার দুঃখে আষাঢ়-শ্রাবণ ফিরে পায় যৌবন।
আজো তার বুকে কত আহাজারি গড়াগড়ি খায় ব্যথা-বেদনায়
কখনো আদালতের ঘাড় ধাক্কায় নেয় আশ্রয় দুধের শিশুর তুলতুলে ঠোঁটে।
আমার প্রাণের বাংলা বর্ণমালা কাঁদে…
এফ এম রেডিওর ব্যাঙ্গ ছুরির হিংস্র আঘাতে ত-বিত আহত
আমার বর্ণমালা কাঁদে…।
আমার বর্ণমালা ফাল্গুনের প্রভাতফেরি শোকের মালা গেঁথে বড় কান্ত।
আমাকে ফাঁসির মঞ্চে ঠেলে দিও তবু আমার বর্ণমালাকে রা করো
আমার প্রাণের বাংলা বর্ণমালাকে রা করো…
ও যে এখনো করেনি রক্ত পূরণ
তাই আমার বর্ণমালা ঋণের দায়ে কাঁদে… ।
আমার সাহসী বর্ণমালা ভয় পায়না কোন সামরিকের রাঙ্গা চোখ, বুলেটের আঘাত
অথচ সে আজ ভয় পায় বাংলিশ বাবুর ফুলের টোকা।
আমার বর্ণমালা আর কাঁদতে চায়না
আমার বর্ণমালাকে আর কাঁদতে দিতে চাইনা
টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া মানচিত্রে সূ আবাস দাও তাকে করোনা শরনার্থী।