পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অনুদান বিষয়ে বিভ্রান্তির অবকাশ নেই

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অনুদান বিষয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই। চলচ্চিত্র অনুদান বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘২০১৮-১৯ অর্থ বছরে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে ৮টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য অনুদান দেয়া হয়েছে।

অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের মধ্যে দেশের চলচ্চিত্র জগতের কিংবদন্তী সারাহ বেগম কবরীর ‘এই তুমি সেই তুমি’ এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও প্রখ্যাত অভিনয়শিল্পী ড. ইনামুল হকের ‘১৯৭১-সেইসব দিন’-এ দু’টি চলচ্চিত্রের বিষয়ে ১১ সদস্যের অনুদান কমিটির ৪ জন অজ্ঞাত কারণে অসম্মতি প্রকাশ করেন।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা এবং চলচ্চিত্র অঙ্গনে দেশবরেণ্য চলচ্চিত্রব্যক্তিত্বদের অবদান রাখার সুযোগ দেয়ার লক্ষ্যে কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে সুপারিশকৃত সবকটি চলচ্চিত্রের সাথে উল্লিখিত দু’টি চলচ্চিত্রকেও অনুদানের আওতায় আনা হয়, যার সাথে অনুদান কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যবৃন্দ সহমত পোষণ করেন। এ বিষয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই।’

সম্প্রতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে আটটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য অনুদান দেওয়া হয়েছে। তবে অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলো কেন্দ্র করে রোববার (২৮ এপ্রিল) অনুদান কমিটির সভাপতি তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বরাবর পদত্যাগপত্র দেন কমিটির সদস্য মামুনুর রশীদ, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, মোরশেদুল ইসলাম ও মতিন রহমান।

বিষয়টি নিয়ে সারাহ বেগম কবরী বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় ও অনুদান কমিটির যারা বিবেচনা করে অনুদানগুলো দিয়েছেন, আমি বলবো তা যথাযথ। সরকারের উচিত ছিল যারা শিল্প-সাহিত্য বোঝে না, তাদের আগেই বাদ দেওয়া। যারা নিজেদের লাভের জন্য সিন্ডিকেট করে দেশের সর্বনাশ করে, তারা সদস্য হিসেবে না থাকাই মঙ্গল।’

‘কিছু লোক আছে যারা সব সময় নিজেদের সুবিধা নিতে চায়। যখন নিজেদের স্বার্থে আঘাত লাগে তখন তারা সমালোচনা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন’, যোগ করেন ‘আয়না’খ্যাত এই নির্মাতা।

এর আগে কবরী তিনবার অনুদানের জন্য আবেদন করেছিলেন। তবে এবারই প্রথম তিনি অনুদান পেলেন। এছাড়া ১৯৯৬ সালে অনুদান কমিটির সভাপতি হিসেবে বর্ষীয়ান এ অভিনেত্রী দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

Print Friendly

Related Posts