বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা গুরুতর জানিয়ে তিনি কারো সাহায্য ছাড়া বিছানা থেকে উঠতে পারেন না বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শুক্রবার গুলশানে চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, বেগম খালেদা জিয়া শুধু বিএনপির নেতা নন। তিনি একজন জাতীয় নেতা। গণতন্ত্রের জন্য তার কোনো বিকল্প নেই। সরকার মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে তাকে কারাগারে বন্দি রেখেছে। তার যে ন্যায্য অধিকার ‘জামিন’ সেটা দেয়া হচ্ছে না। আমরা বারবার বলেছি তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। অন্যথায় তার জীবন সংকটে চলে যাবে। কিন্তু সরকার আমাদের কথার গুরুত্ব দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, তার ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় চলে গেছে। সুগার লেভেল ১০-১১ পর্যায়ে। মাঝে মাঝে ১৫-১৬ হয়। একই সঙ্গে তার ব্যথা বেড়ে গেছে। আগে বাম পাশে ছিলো। এখন ডানেও একই অবস্থা। অনেক আগে ডাক্তারেরা তাকে নিয়ে যে আশঙ্কা করেছিলেন সেটাই ঘটছে। বেগম খালেদা জিয়ার সেল শুকিয়ে যাচ্ছে, অকেজো হয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে তার উন্নত চিকিৎসা দরকার।
ফখরুল বলেন, আমরা সরকারকে বারবার বলেছি। এখনও বলছি তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় তার কোনো কিছু ঘটে গেলে দায় সম্পূর্ণ সরকারকে নিতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া জামিনে মুক্তি পাবেন। কিন্তু সরকার আইনগত ব্যাপারে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হস্তক্ষেপ করছে। সরকার আদালতে হস্তক্ষেপ করছে। এটি সংবিধান পরিপন্থী, অমানবিক। খালেদা জিয়ার জামিন না হওয়াটা মানবাধিকার লংঘন।
মির্জা ফখরুল প্রশ্ন রেখে বলেন, সরকার কি কারাগারেই খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করতে চায়? নয়তো এতো ভয় কেন? তাকে বন্দি রেখে নয়, মুক্তি দিয়ে রাজনীতি করুন। দেখুন জনগণ কি করে।
নির্বাচিত সাংসদরা সংসদে যাওয়ার পেছনে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি ছিলো শুনেছি, কিন্তু এখন কেন মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ফখরুল বলেন, কই এমন কোনো কথা তো আমরা কোথাও বলিনি যে, আমাদের সংসদ সদস্যরা সংসদে গেলে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি পাবেন। সংসদে যাওয়ার পেছনে খালেদা জিয়ার মুক্তির কোনো সম্পর্ক ছিলো না। তিনি মুক্তি পাবেন আইনগতভাবে। সেটা তার সাংবিধানিক অধিকার।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিউরউদ্দীন সরকার, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এ জাহিদ হোসেন প্রমুখ।