রায়হান আহমেদ তপাদার
পৃথিবীর সর্ববৃহৎ শরণার্থী এখন আমাদের দেশে। যারা নাফ নদী পার দিয়ে এ দেশে এসেছে জীবনের নিরাপত্তার জন্য। আমাদের মানবতার জননীখ্যাত প্রধানমন্ত্রী তাদের এ দেশে নিশ্চিন্ত জীবন দিয়েছেন। সব রকম নিরাপত্তা দিয়ে আগলে রেখেছেন। কিন্তু এর শেষ কোথায়? বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর নানা চাপে আমরা কিছুটা শঙ্কিত, কারণ মিয়ানমারের কাছ থেকে কোনো কার্যকরী উদ্যোগ আমরা দেখতে পাইনি। যেটুকু মিডিয়ায় আসে, তা মনে হয় কেবল লোক দেখানোর জন্যই। কার্যকরী কোনো উদ্যোগ এখনো চোখে পড়েনি। এভাবে এক দেশের নাগরিক অন্য দেশে আশ্রয় দিলেই কি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
রোহিঙ্গা নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সব সময়ই ইতিবাচক ছিল। এখনো আছে। মানবিক কারণে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে। তবে দিন যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোহিঙ্গা নিয়ে বহুমুখী সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। রোহিঙ্গারা সন্ত্রাস, মাদকসহ নানা রকম খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়েছে। রোহিঙ্গারা এইডসসহ নানা রোগেও আক্রান্ত; যা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ার চেষ্টা করছে। তাদের জন্য স্থানীয় জনগণ সবচেয়ে বেশি সমস্যার মধ্যে রয়েছে।
বিশ্বের অনেক দেশ যখন রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে ছিল; তখন বাংলাদেশ খাবার চিকিৎসা দিয়ে এসব রোহিঙ্গা নিয়ে মানবতার কাজ করে গেছে।কিন্তু নাফ নদীর তীরে বসবাসরত মানুষের জীবনে নেমে এসেছে চরম স্থবিরতা। আরাকান থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত হয়ে জীবনযাপন করছে তারা। এদের সংখ্যাও কম নয়। ১১ লাখের কাছাকাছি। মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং সরকারের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মুখে নিরস্ত্র এই রোহিঙ্গা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী নিজ ভূমি ত্যাগ করে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। কিন্তু মানবতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেই বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দেয়। সম্ভবত একসঙ্গে এত মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে অপর একটি দেশে দীর্ঘদিন আশ্রয় নেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম।
বিশ্বের অনেক দেশ এ ঘটনার নিন্দা জানালেও সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক ভূমিকায় কাউকে তেমন একটা এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর ভূমিকাও নেতিবাচক। পাশাপাশি জাতিসংঘের ভূমিকা অনেকটা ধরি মাছ না ছুঁই পানির মতো। ঠিক এ রকম এক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি এত জটিল হওয়ার জন্য জাতিসংঘেরও দায় রয়েছে। তিনি আরো বলেছেন, জাতিসংঘ বিষয়টির শুরুতে অনেক কিছুই চেপে গেছে। অনেক আগে থেকে মিয়ানমার শাসকগোষ্ঠী কট্টর ধর্মীয় মৌলবাদী বৌদ্ধ পুরোহিতদের সহায়তায় রোহিঙ্গাদের প্রতি ঘৃণা ছড়ানোর কাজ শুরু করে। বর্তমান সময়ে জাতিসংঘ যা বলছে, তা কেবল বাংলাদেশকে উপলক্ষ করে। এখন উচিত এই পথ পরিহার করে মিয়ানমারের দিকে বেশি নজর দেওয়া, যাতে তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়।
তিনি বলেছেন, বিশ্বজুড়ে মানবতা যাতে লঙ্ঘিত না হয়, তা দেখভাল করার লক্ষ্যেই জেনেভা কনভেনশনের জন্ম। কনভেনশনের আইনগুলো মানতে বাধ্য করা হলে এ ধরনের ঘটনা রোধ করা সম্ভব হতো। কিন্তু বিশ্ব সংস্থা তা করতে না পারার কারণে এ সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। বিশ্বশান্তি বিঘিœত হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ সব সময়ই বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা মনে করি, পরাশক্তিরাই এ সমস্যা সমাধানে প্রধান বাধা। তাদের কাছে মানবতার মূল্য আজ শূন্যের কোঠায়। নিজ স্বার্থের বাইরে তারা কোনো কিছু করার কথা তারা ভাবেন না।
আর সে কারণে সমস্যা সমাধানে আমরা পরাশক্তির পরস্পরের দ্বন্দ্বকে কাজে লাগাতে পারি। বলার প্রশ্নে যতটা সহজ, বাস্তবায়ন ততটা কঠিন। এ কথা মাথায় রেখেই আমাদের এগোতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চয়ই ভাবছে। তাদের ভাবনার সঙ্গে এটুকু যোগ করতে চাই, সাবধানের মার নেই। যা কিছুই করি না কেন, চুলচেরা বিশ্লেষণ করেই তা যেন করা হয়। সম্ভবত প্রধানমন্ত্রীও সে পথেই চলেছেন। তড়িঘড়ি কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে ধীরে চলার নীতিই এখানে অধিকতর গ্রহণযোগ্য বলেই আমাদের ধারণা। তবে প্রত্যেকেরই প্রত্যাশা থাকে। আমাদেরও আছে। আমরা বিশ্বাস করি, শেষ পর্যন্ত মানবতার জয় হবেই।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমরা চাই,আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসনে সক্রিয় হোক, যাতে এ বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠী তাদের নিজ বাসভূমিতে ফিরে যেতে পারে। শরণার্থী সমস্যা এখন সারা বিশ্বের মাথাব্যথার কারণ। শরণার্থী হিসেবে বিভিন্ন দেশে মানুষ ভিড় জমায় একটু বাঁচার আশায়। যেখানে প্রধান আশা মানবতা। ক্রমেই এ সমস্যা প্রকট হয়ে উঠছে। কয়েক দিন আগেও দালালদের মাধ্যমে যাওয়া ৬৪ জন বাংলাদেশির সাগরে ভাসার খবর প্রকাশিত হয়েছিল। অবৈধ অভিবাসী নিয়ে মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সমস্যা রয়েছে। কত দেশের কত নাগরিক এসব দালালের খপ্পরে সর্বস্ব খুইয়ে ভিনদেশে বেঁচে থাকার আশায় পাড়ি জমাচ্ছে, তা হিসাব নেই। নানা কারণেই শরণার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, জলবায়ু সমস্যা, নিরাপত্তার অভাবসহ আরো অনেক কারণে শরণার্থীর সমস্যা বাড়ছে। মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সমস্যা দীর্ঘতর হচ্ছে। বিশ্ব দরবারে প্রশংসাও কুড়িয়েছে। একটি রাষ্ট্রের যে দায়িত্ব ছিল, তা মিয়ানমার পালন করেনি।
অথচ রাষ্ট্রের দায়িত্ব দেশে বসবাসরত সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। মিয়ানমার তা করেনি। তার পরিবর্তে রাখাইনে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি করেছে। একমাত্র বাংলাদেশই সরাসরি এসব কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করে রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি বারবারই ঝুলে থাকছে। রোহিঙ্গারাও নিরাপদ পরিবেশ না পেলে ফিরে যেতে ইচ্ছুক না। জীবনের নিরাপত্তা না পেলে কেন কেউ ফিরে যেতে চাইবে। ইতোমধ্যেই মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক অভিযানে সৃষ্ট সংকটে নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করেছে জাতিসংঘ।
সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা এ সংকট মোকাবিলায় পদ্ধতিগত ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। সংস্থাটির অভ্যন্তরীণ এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় তাদের ঐক্যবদ্ধ কোনো কৌশল ছিল না। এ ছাড়া নিরাপত্তা পরিষদের পর্যাপ্ত সমর্থনেরও অভাব ছিল। বাংলাদেশ জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে একটি আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করতে। কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়, এটি বেশ জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। কিন্তু কতটা দীর্ঘ সেটাই প্রশ্ন। রোহিঙ্গাদের জন্য আমরা বহুবিধ সমস্যার ভেতর পড়ছি।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সমস্যাটি দীর্ঘতর এবং কৌশলগতভাবে এগোনোর কোনো বিকল্প নেই। তড়িঘড়ি কোনো সিদ্ধান্ত কোনো কাজেই আসবে না। কারণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পুরো ঘটনার নিন্দা করলেও কার্যকর পদক্ষেপ বলতে যা বোঝায়, তা এখনো চোখে পড়েনি। অথচ দুই দফায় আমাদের দেশে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে কত দিনে মিয়ানমার ফেরত নেবে এবং কত দিনে সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান হবে; তা প্রশ্নেই ঘুরপাক খাচ্ছে।
রোহিঙ্গারা চেষ্টা করছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছাড়িয়ে পড়তে। এমন কোনো অপরাধ নেই যা তারা করছে না। মাদক ব্যবসা উল্লেখযোগ্য হলেও তারা ছিনতাই, নারী এবং এর থেকেও মারাত্মক অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে। এমনিতেই আমরা নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছি। মানবিক কারণেই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু স্থায়ীভাবে তাদের সুযোগ দেওয়া বাংলাদেশের জন্য প্রায় অসম্ভব। এদিকে আন্তর্জাতিক চাপ ছাড়া মিয়ানমার যে রোহিঙ্গাদের ফিরতে নেবে না, তা স্পষ্ট। এরা ইতোমধ্যেই কোনোমতে মানবেতর জীবনযাপনে নিজেদের অভ্যস্ত করে নিয়েছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকেই বিদেশি সাহায্যের পাশাপাশি এ দেশের মানুষ তাদের সবটুকু দিয়ে সাহায্য করছে।
অথচ জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু ব্যয় প্রায় ৭০০ ডলার। এখন পর্যন্ত আমরা বাইরের দেশের সহযোগিতা পেলেও কত দিন এই সহযোগিতা বজায় থাকবে, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যু নিয়ে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও তার দৃশ্যমান খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করলেও খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা উন্নয়নের দিকে ধাবমান। এ উন্নয়নের গতি বজায় রাখতে যত দ্রুত সম্ভব বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জোর কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। রোহিঙ্গাদের আমরা এখন নিয়ন্ত্রণের রাখতে পারলেও এরা ক্রমেই আমাদের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। এ দেশে এসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নবজাতকের জন্ম দিয়েছে। আরো অনেকেই গর্ভবতী। মানে রোহিঙ্গাশিবিরের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এসব আজ সমস্যা তৈরি না করলেও একসময় ঠিকই আমাদের দিকে বুমেরাং হয়ে আসতে পারে। রোহিঙ্গাদের যত দ্রুত তাদের দেশে ফেরত পাঠানো যায়, ততই মঙ্গল। সেই সঙ্গে সারা বিশে^ই যে শরণার্থী সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, তার সমাধান হোক।
দীর্ঘদিন অবস্থানের কারণে আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে এবং নিরাপত্তা ঝুঁকিও রয়েছে। রাতারাতি এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এ কথা ভাবার কোনো কারণ নেই। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যতটা সমাধানে আগ্রহী; ততটাই কার্যকর আগ্রহ থাকতে হবে মিয়ানমারের। এত বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে এক স্থানে আটকে রাখাও কঠিন বিষয়। ভাসানচরের আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গাদের রাখার জন্য সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানা গেছে।
এ পর্যন্ত ৮ লাখ ৭২ হাজার ৮৮০ জন রোহিঙ্গা বনাঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছে। রোহিঙ্গাদের কারণে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার বনভূমি ও বনজ সম্পদ হুমকিতে। একবার বনজ সম্পদ উজাড় হয়ে গেলে রোহিঙ্গারা ফিরে গেলেও তা পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া যাবে কি না সন্দেহ। মোটকথা দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের অবস্থানের কারণে মানবিক, সামাজিক, নৈতিক, আর্থসামাজিক, প্রাকৃতিক, পরিবেশ বিপর্যয়ের মতো সংকটের মুখোমুখি বাংলাদেশ যে সম্প্রীতির দেশ, তা আরো একবার প্রমাণিত হয়েছে। সেই আদিকাল থেকেই বাঙালিরা অতিথিপরায়ণ জাতি। বাড়িতে অতিথি এলে তার আপ্যায়নের কোনো ত্রুটি হয় না। রোহিঙ্গারা আমাদের আশ্রয়ে এসেছে। আমরা উচিত কাজটাই করে যাচ্ছি।
তবে আমাদের দেশের সামর্থ্য কম। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সাহায্যও পাচ্ছে রোহিঙ্গারা। কিন্তু মূল কথা হলো, শেষ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ বাসভূমে ফেরত পাঠাতে হবে। এত বিপুল জনগোষ্ঠীকে হয়তো সাময়িকভাবে দায়িত্ব নেওয়া যায়, কিন্তু স্থায়ীভাবে অবশ্যই নয়। কিন্তু যেহেতু এই ইস্যুটি একটি আন্তর্জাতিক ইস্যু; তাই আন্তর্জাতিক মহলে কূটনৈতিকভাবে জোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে রোহিঙ্গাদের যেন তাদের আবাস সম্মানের সঙ্গে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এটা করতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। রোহিঙ্গাদের জন্য সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় আছে স্থানীয় জনগণ। উজাড় হয়েছে বন, কাটা পড়ছে পাহাড়। দীর্ঘস্থায়ী কোনো সমস্যা চলতে থাকলে তা একসময় মারাত্মক ঝুঁকির মুখে ফেলে দেবে।
রায়হান আহমেদ তপাদার : লেখক ও কলামিস্ট
raihan567@yahoo.com