আওয়ামী লীগের ক্রিকেটপ্রেমী নেতা-কর্মীদেরকে দোয়া করার আহ্বান জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নেতারা। তারা বলেছেন, মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট লড়াইয়ে কী হবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন দলের সবাই।
রোববার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এই আহ্বান জানান নেতারা। সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এ কথা বলেন। ৭ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভা সফল করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ এই বর্ধিত সভার আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কামাল আহমেদ মুজমদার। সভা সঞ্চালন করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হক সবুজ।
সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ বজলুরর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে আমরা এখানে কে কি বলছি, সেদিকে কারও কোন আগ্রহ নেই। কারণ, সবার দৃষ্টি হচ্ছে মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আজকে এই নগরীর সকল জনতার ধারা এসে মিলিত হবে এই স্টেডিয়ামে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে মিত্রদের সাথে আমাদের লড়াই হবে। মিত্রদের সাথেও জিততে চাই। আমরা ছোট দেশ হতে পারি কিন্তু সারা দুনিয়ায় ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছি পদ্মা সেতুর মত মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নের সক্ষমতা আছে। তেমনি দেখিয়ে দিতে হবে, বিশ্বের যে কোন ক্রিকেট শক্তিকে পরাজিত করার শক্তি আছে।’
হারি জিতি নাহি লাজ- একথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সমানে সমান একটা ধারণা করে রাখব। না জিতলেও মনের কষ্ট-বেদনায় যেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভায় যাওয়ার আগ্রহে ভাটা না পড়ে।’