বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ, বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বের নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশকে রোল মডেলের স্বীকৃতি দিয়েছে এবং বাংলাদেশের নেতা শেখ হাসিনার বিরল কারিশমাটিক নেতৃত্বকে স্বাগত জানাতে কুন্ঠাবোধ করেনি। কারণ, বাংলাদেশ যেখানে পড়েছিল, সেখান থেকে যে উচ্চতর স্তরে তিনি নিয়ে গেছেন, বাংলাদেশ তার অর্ধেক স্তরে পৌঁছাবে বলেও কেউ ভাবতে পারেনি।
ভারতের সড়ক, মহাসড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি বাংলাদেশের সাবেক সচিব এবং বিসিএস মুক্তিযোদ্ধা ও মুজিব নগর অফিসার ও কর্মচারী সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ মুসা এবং বাংলাদেশের নবপ্রজন্ম মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের সভাপতি হাবিব-ই-আকবরের সম্মানে তাঁর আকবর রোডের বাসভবনে গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) আয়োজিত নৈশভোজে উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
ভারত ও বাংলাদেশের পারস্পরিক বিকাশ ও সমৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ আস্থা ও পরম নির্ভরতার সাথে একযোগে কাজ করে চলেছেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা বাংলাদেশের চোখ ধাঁধানো সমৃদ্ধি অর্জন করে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের চোখ খুলে দিয়েছেন যে, অনুন্নত দেশগুলোও নতুন বিশ্ব চালিকা শক্তির নিয়ামক হতে পারে।”
বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি দুটোই ভারতসহ বিশ্ব নেতাদের মুগ্ধ করেছে বলে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশ অচিরেই অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশ সমূহের সমকক্ষ হয়ে উঠবে।”
নিতিন গড়কড়ি বলেন, “বাংলাদেশের ভূখন্ডে সন্ত্রাসীদের দমনে তাঁর সার্বিক সাফল্য এবং বাংলাদেশের প্রতিবেশী সাত ভারতীয় রাজ্যে সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশ বন্ধে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নিরবচ্ছিন্ন অবদানের জন্যে ভারতবাসী তাঁর কাছে ঋণী এবং তিনি ভারতের জন্য খুবই অপরিহার্য।”
তাঁর বাস ভবনে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়ে তাঁদেরকে সম্মানিত করার জন্য জনাব মুসা তাঁকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের বীরমুক্তি বাহিনী ও ভারতের বীর মিত্র বাহিনী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একত্রে যুদ্ধ করেছে, একত্রে রক্ত দিয়েছে ও একত্রে জীবন দিয়েছে। উভয় জাতির পুণ্যময় রক্তস্রোতের পুণ্য বন্ধনে আমরা আবদ্ধ। ভারত ও ভারতের মিত্র বাহিনী বাঙালী জাতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিক্ষীত ও চিরস্থায়ী বন্ধু।”