বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ গত বছর থাইল্যান্ডের গুহা থেকে ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধারকারী দলের এক সদস্য রক্তে সংক্রমণের শিকার হয়ে মারা গেছেন। থাই নেভি সিলের পেটি অফিসার বেইরুত পাকবারা ওই সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছিলেন থাম লুয়াং গুহায় উদ্ধারকাজ চালানোর সময়। প্রায় দেড় বছর ধরে এই সংক্রমণে ভুগে মৃত্যু হলো তার।
নেভি সিল প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংক্রমণ ধরা পড়ার পর থেকেই বেইরুত চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তার অবস্থা খুব বেশি খারাপ হয়ে যায় এবং শুক্রবার তিনি মারা যান।
ওই দিনই বেইরুতকে থাইল্যান্ডের সাতুন প্রদেশে তার নিজ এলাকায় সমাহিত করা হয় বলে জানিয়েছে স্ট্রেইটস টাইমস ও বিবিসি।
এর আগে উদ্ধার অভিযান পরিচালনার সময়ই সামান গুনান নামে আরেক উদ্ধারকারী মারা গিয়েছিলেন। থাই নেভি সিলের প্রাক্তন ডুবুরি সার্জেন্ট সামান গুহার ভেতরে আটকা পড়া ফুটবল দলের সদস্যদের এয়ার ট্যাংক সরবরাহ করতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে তার নিজের ট্যাংকেরই বাতাস ফুরিয়ে গেলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং কিছু সময় পরই মারা যান।
২০১৮ সালের ২৩ জুন থাইল্যান্ডের চিয়াং রাই শহরের ন্যাশনাল পার্ক লাগোয়া জঙ্গলাকীর্ণ পাহাড়ি এলাকার থাম লুয়াং নাং নন গুহায় আটকা পড়ে ১২ কিশোর ফুটবলার আর তাদের ২৫ বছর বয়সী কোচের দলটি। প্রায় তিন সপ্তাহের চেষ্টার পর অবশেষে গত বছরের ১১ জুলাই শেষ কিশোরটিকেও অতিরিক্ত বৃষ্টিতে হওয়া বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া গুহা থেকে উদ্ধার করে আনতে সফল হয় রয়্যাল থাই নেভি সিলের দলটি।
গুহাটি চলতি বছর আবারও পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।