অনেক স্বশিক্ষিত প্রতিভাবান সাংবাদিক দেশে রয়েছেন : তথ্যমন্ত্রী

জ.ই বুলবুল: বাংলাদেশ সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরাম প্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান এবং প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকারের সঙ্গে এই বৈঠকে অংশ নেন- বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন এবং সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার, উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ খবরের সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূইয়া, ভোরের ডাক সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, বাংলাদেশ পোস্টের সম্পাদক শরিফ সাহাবুদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক ও আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাসিমা খান মন্টি, সদস্য ও দৈনিক জনতার সম্পাদক আহসান উল্লাহ, ডেইলি ইন্ডাস্ট্রির সম্পাদক ড. এনায়েত করিম, খোলা কাগজের সম্পাদক আহসান হাবীব, মানবকণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক দুলাল আহমেদ চৌধুরী, সংবাদ প্রতিদিনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রিমন মাহফুজ, শেয়ারবিজ সম্পাদক মীর মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশের আলো সম্পাদক মফিজুর রহমান খান বাবু, বাংলাদেশ বুলেটিন সম্পাদক আশরাফ আলী, ডেইলি সিটিজেন টাইমস সম্পাদক নাজমুল আলম তৌফিক, প্রতিদিনের সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এসএম মাহবুবুর রহমান, বরিশাল থেকে প্রকাশিত আঞ্চলিক দৈনিক আজকের বার্তা পত্রিকার সম্পাদক ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের সদস্য কাজী নাসির উদ্দিন বাবুল ।

সম্পাদক ফোরাম এসময় ই-টেন্ডারিং এর পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞাপনসহ সকল সরকারি বিজ্ঞাপন জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে দুটি এবং জাতীয় পর্যায়ে ৬টি বাংলা ও ২টি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশের ব্যবস্থা, নামসর্বস্ব ও অনিয়মিত পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র প্রদান বন্ধ ও তাদের মিডিয়া তালিকাভুক্তি বাতিলের দাবি জানায়।

ডিএফপি’র তালিকানুসারে ক্রোড়পত্র প্রদান ও যেসব জাতীয় দৈনিক ঢাকার দুই সংবাদপত্র হকার্স সমিতিতে বিতরণ ও বিক্রির জন্য দেয়া হয়, সেগুলো ছাড়া অন্য পত্রিকায় সরকারের বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র প্রদান বন্ধ করারও দাবি জানান তারা।

সেই সাথে সংবাদপত্রের প্রচার সংখ্যা নির্ধারণ ব্যবস্থা সংশোধন ও একটি কমিটির তদারকির মাধ্যমে করা, সরকারি বিজ্ঞাপনের বিল তিন মাসের মধ্যে পরিশোধের ব্যবস্থা, দীর্ঘ বকেয়া বিল পরিশোধের উদ্যোগ, বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপনা বিকেন্দ্রীকরণ ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কমিটিতে সম্পাদক ফোরামের প্রতিনিধি অন্তর্ভূক্ত করার দাবি উত্থাপন করেন তারা।

সম্পাদকের শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম স্নাতক ও ১৫ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতার সনদ যাচাই করে পত্রিকার ডিক্লারেশন দেয়া ও পত্রিকার সম্পাদক বা ভারপ্রাপ্ত সম্পাদককে পূর্ণকালীন সাংবাদিক থাকা ও পত্রিকার প্রকৃত সার্কুলেশন যাচাই করে মিডিয়া তালিকাভুক্ত করার দাবি তুলে ধরে ফোরাম।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত সনদ ছাড়াও অনেক স্বশিক্ষিত প্রতিভাবান সাংবাদিক দেশে রয়েছেন, যাদের সম্পাদক হবার যোগ্যতাও রয়েছে, যা বিবেচনাযোগ্য। অন্যান্য দাবিগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে বলে তিনি জানান।

Print Friendly

Related Posts