বিডি মেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ দলের কোন পদ-পদবীতে তিনি নেই। কিন্তু তবুও তিনি দলে ‘ক্ষমতাবান’ হিসেবে পরিচিত। দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে অনেক সিনিয়র নেতা ভূমিকা রাখতে না পারলেও, তিনি দলকে প্রভাবিত করতে পারেন। অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিতে পর্দার আড়াল থেকে যিনি এ ভূমিকা রাখনে তিনি হচ্ছেন সদ্য গ্রেফতার হওয়া সিনিয়র সাংবাদিক রেহমান। বিএনপি’র সাথে শফিক রেহমানের ঘনিষ্ঠতা অনেকটা প্রকাশ্য।
বিএনপি’র নীতি নির্ধারণে শফিক রেহমান কেন এতটা গুরুত্বপূর্ণ? দলে তার প্রাথমিক সদস্য পদ নেই। তারপরেও কেন তিনি বিএনপি’তে এতো প্রভাবশালী? বিএনপি’র অনেক নেতা মনে করেন শফিক রেহমান খালেদা জিয়ার অত্যন্ত আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। যাদের পরামর্শ বা মতামতকে খালেদা জিয়া সবচেয়ে বেশি মূল্যায়ন করেন তাদের মধ্যে শফিক রেহমান অন্যতম।
শফিক রেহমান নিজেও সে কথা জানালেন। গত মার্চ মাসের শুরুতে বিবিসি বাংলার সাথে এক সাক্ষাৎকারে মি: রেহমান বলেছিলেন ,“আমি কৃতজ্ঞ যে তিনি (খালেদা জিয়া) এ রকম উপদেশ মাঝে-মধ্যে নিয়েছেন।” বিএনপি’র নীতি নির্ধারণে শফিক রেহমানের মতামতকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়। শফিক রেহমান মনে করেন,তিনি রাজনীতির বাইরে থাকার কারণে অনেক ক্ষেত্রে হয়তো সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পেরেছিলেন।
তিনি বলেন, “ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) হয়তো সেটা বুঝতে পেরেছিলেন যে, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমি হয়তো তাকে সঠিক সময়ে সঠিক উপদেশ দিয়েছি। তিনি যখন জেল থেকে ছাড়া পেলেন তখন আমার বাড়িতে এসেছিলেন।” বিভিন্ন সময়ে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বক্তব্যের বিষয়বস্তু নির্ধারণেও শফিক রেহমানের ভূমিকা থাকে বলে জানা যায়। এছাড়া বিভিন্ন নির্বাচনে তিনি বিএনপি’র ইশতেহার প্রণয়নেও ভূমিকা রেখেছেন।
বিএনপি থেকে শমসের মবিন চৌধুরীর পদত্যাগের পর দলটির পক্ষে যে কয়েকজন ব্যক্তি ঢাকার কূটনীতিক পাড়ায় যোগাযোগ রাখেন তাদের মধ্যে শফিক রেহমান অন্যতম। তার প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায় সর্বশেষ অনুষ্ঠিত বিএনপি’র কাউন্সিলে। সে কাউন্সিলে শফিক রেহমান আন্তর্জাতিক কমিটির আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
-বিবিসি বাংলা